জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। কনসার্টে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন শাফিন, ভার্জিনিয়ার শোর আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এ কারণে শো বাতিল করে সেদিনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় তাঁকে। এরপর আর ফেরানো যায়নি। মৃত্যুবার্ষিকীর দিনটি পারিবারিকভাবে পালন করা হচ্ছে। সন্ধ্যায় মিলাদের সঙ্গে কবর জিয়ারত করতে যাবে পুরো পরিবার।

শাফিন আহমেদের বড় ছেলে আজরাফ আহমেদ অজি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাবার মৃত্যুবার্ষিকীর সব আয়োজন নিজেদের মধ্যে করছি। সন্ধ্যায় মিলাদ ও কবর জিয়ারতে যাব। সব সময় তো তাঁকে মিস করি, তবে আজ যেন সারা দিন ধরেই বাবার স্মৃতিগুলো মনে পড়ছে।’
সবার কাছে ব্যান্ড তারকা হলেও অজির কাছে শাফিন আহমেদ ছিলেন একজন ফ্যামিলিম্যান। যেকোনো ছোট আয়োজন হলেও পরিবারের সবাইকে মাতিয়ে রাখতেন তিনি। অজি বলেন, ‘আমরা বাচ্চারা কত আইডিয়া তাঁর সঙ্গে শেয়ার করতাম, কিন্তু কখনো তিনি বিরক্ত হতেন না। অলওয়েজ পজিটিভ রেসপন্স করতেন, অনুপ্রেরণা দিতেন।’

শাফিন আহমেদের সঙ্গে এক মঞ্চে অজি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ফ ন আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেট থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেট থেকে আল হাবিব নামে ৬ বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আল হাবিব একই ইউনিয়নের শিলাইকুঠি এলাকার আশরাফুল ইসলামের ছেলে। 

আশরাফুল ইসলাম ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত হওয়ায় এখন ঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না তিনি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে খেলতে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি আল হাবিব। দীর্ঘ সময় ধরে খোঁজা-খুঁজির পর রাতে ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেটে শিশুটির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এলাকাবাসীর সহায়তায় মরদেহটি উদ্ধার করে। 

পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহটি ভাঙা টয়লেটের ছড়ানো ইটের ওপর পড়ে ছিল। গলায় নিজের পরনের শার্ট পেঁচানো ছিল। মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্নও আছে। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর তাকে এখানে ফেলে গেছে ঘাতকরা। তবে কারা এবং কেন হত্যা করেছে, তা এখনো জানা যায়নি।

বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক হোসেন বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে পরিত্যক্ত ভবনে বাচ্চাটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ও গ্রাম পুলিশ আমাদেরকে খবর দেয়। তারপর আমরা পুলিশকে খবর দিই। 

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বলেছেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে৷ এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে৷ 

ঢাকা/নাঈম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ