পৃথিবীর পাশ দিয়ে বিমানের সমান এক গ্রহাণু ছুটে যাবে আগামীকাল
Published: 25th, July 2025 GMT
বিমানের সমান বড় একটি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ‘২০২৫ ওএক্স’ নামের গ্রহাণুটি আগামীকাল শনিবার ২৮ লাখ ১০ হাজার মাইল দূর থেকে পৃথিবীকে অতিক্রম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাধারণত, ১৫০ মিটারের চেয়ে বড় এবং পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করা গ্রহাণুকে সম্ভাব্য বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। ওএক্স গ্রহাণুটি নিরাপদ দূরত্বে থাকলেও নজরে রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
নাসার তথ্যমতে, আগামীকাল পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাওয়া ২০২৫ ওএক্স নামের গ্রহাণুটি পৃথিবীর জন্য তেমন কোনো হুমকির নয়। এ বিষয়ে নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞ ইয়ান জে ও’নিল বলেন, ‘এমন গ্রহাণুর আসা–যাওয়া খুবই নিয়মিত ঘটনা। আমরা জানি, গ্রহাণুটি কোথায় আছে। আগামী ১০০ বছর পর গ্রহাণুটি কোথায় থাকবে, সে তথ্যও আমরা জানি।’
আগামী সপ্তাহে ‘২০২৫ ওডব্লিউ’ নামের আরও একটি গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। ওডব্লিউ গ্রহাণুটির আকার প্রায় ২১০ ফুট। গ্রহাণুটি ২৮ জুলাই পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করবে।
নাসার সেন্টার ফর নিয়ার–আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজের গ্রহাণু বিশেষজ্ঞ ডেভিড ফার্নোচিয়া জানিয়েছেন, ২০২৫ ওএক্স গ্রহাণুটি দুরবিন দিয়ে দেখা যাবে না। আগামী ২০২৯ সালে অ্যাপোফিস নামের একটি গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছে অর্থাৎ ৩৮ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রোনালদোর পাশে ফেলিক্স? ৫০ মিলিয়ন ইউরো নিয়ে দৌড়াচ্ছে আল-নাসর
সৌদি আরবের ফুটবলে যেন রূপকথার গল্প লেখা হচ্ছে নতুন করে। তারকা তারকায় ভরা দলগুলোর প্রতিযোগিতায় এবার বড় চমক নিয়ে হাজির আল-নাসর। শোনা যাচ্ছে, ৫০ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের এক আলোচিত ট্রান্সফার ডিল একেবারে শেষ মুহূর্তে ছিনিয়ে নিতে চলেছে তারা। যার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগিজ জাতীয় দলের সতীর্থ, ২৪ বছর বয়সী জোয়াও ফেলিক্স।
নতুন কোচ জর্জ জেসুসের অধীনে ২০২৫-২৬ মৌসুম শুরু করতে যাচ্ছে আল-নাসর। আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তারা গড়ে তুলছে একটি দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ স্কোয়াড। যার অন্যতম বড় চমক হতে চলেছে জোয়াও ফেলিক্স।
ফেলিক্স মূলত ফিরতে যাচ্ছিলেন নিজের পুরনো ক্লাব বেনফিকায়। কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সৌদি ক্লাব আল নাসরের আগ্রহ এবং ফেলিক্সের আগ্রহের সাড়া মিলে ব্যাপারটা পুরো পাল্টে যায়। ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিজিও রোমানোর মতে, এই ডিল এখন অনেকটাই চূড়ান্তের পথে।
আরো পড়ুন:
রাশফোর্ডের অভিষেক, তরুণদের ঝলকে বার্সার জয়
মেসিহীন মায়ামির হতাশা, নাটকীয় ড্রয়ে থমকে গেল স্বপ্নযাত্রা
ফেলিক্স, যিনি ২০২৫ সালের জুনে দ্বিতীয়বারের মতো উয়েফা নেশনস লিগ শিরোপা জয়ের দলে ছিলেন, ইউরোপে একাধিক ক্লাব ঘুরেও নিজের জায়গা পোক্ত করতে পারেননি। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, চেলসি, বার্সেলোনা ও সর্বশেষ এসি মিলানে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও, কোথাও স্থায়ী জায়গা করে নিতে পারেননি। ফলে এখন সৌদি আরবে রোনালদোর পাশে নতুন অধ্যায় শুরুর পথে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
২০১৯ সালে বেনফিকা থেকে রেকর্ড ১২৬ মিলিয়ন ইউরোতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে পাড়ি জমিয়েছিলেন ফেলিক্স। এরপর বেশ কিছু ধারে খেলা হলেও চেলসিই ছিল তার বর্তমান মালিকানাধীন ক্লাব। তারা এবার তাকে স্থায়ীভাবে বিক্রি করতে চায়, আর বেনফিকাও আগ্রহী ছিল তাকে ফেরাতে।
কিন্তু সমস্যার শুরু চেলসির চাহিদা নিয়ে। তারা ফেলিক্সের জন্য চাইছিল ৫৪ মিলিয়ন ইউরো, যা তারা এক বছর আগে দিয়েছিল। বেনফিকা তাদের প্রস্তাব দেয় ৫০ শতাংশ মালিকানার জন্য ২৫ মিলিয়ন ইউরো। চেলসি পাল্টা চুক্তিতে শর্ত যোগ করে—২০২৭-২৮ মৌসুমে খেলোয়াড় বিক্রি না করলে আরও ১৫ মিলিয়ন ইউরো দিতে হবে এবং ভবিষ্যতের বিক্রিতেও লাভের ৫০ শতাংশ ভাগ। এই শর্ত মেনে নেওয়ার মতো অবস্থা বেনফিকার ছিল না।
ফলে আলোচনার টেবিলেই থেমে যায় তাদের আশা। আর সেই ফাঁকেই এগিয়ে আসে আল-নাসর।
জানা গেছে, আল-নাসরের কোচ জর্জ জেসুস ও অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ব্যক্তিগতভাবে ফেলিক্সকে রাজি করাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। ২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিয়মিত খেলার সুযোগ চাইছেন ফেলিক্স, আর সৌদি আরবের মঞ্চে রোনালদোর পাশে সেই সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল।
সব মিলিয়ে, আল-নাসর যদি শেষ পর্যন্ত এই চুক্তি সম্পন্ন করতে পারে, তবে সেটা শুধু ক্লাবের জন্য নয়; পুরো সৌদি ফুটবল লিগের জন্যই হবে এক বিশাল পাওয়া।
ঢাকা/আমিনুল