ফতুল্লায় বিএনপি নেতাদের সাথে শ্রমিকলীগ ক্যাডার ডাকাত জাকির, ক্ষোভ
Published: 25th, July 2025 GMT
শ্রমিক লীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশের আর্শীবাদপুস্ট বৈষম্য বিরোধী একাধিক মামলার পলাতক আসামী জাকির হোসেন ওরফে ডাকাত জাকিরকে প্রকাশ্যে দেখা গেছে। শুক্রবার দুপুরে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাছান মাহমুদ পলাশ ও যুগ্ম সম্পাদক মুসলিম আহমেদের শেল্টারে প্রকাশ্যে এসেছে।
তথ্যমতে জাকির হোসেন ওরফে ডাকাত জাকির বিগত হাসিনা সরকারের শাসনামলে কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাউছার আহম্মেদ পলাশ প্যানেলের দাপা ট্রান্সপোর্টের সাবেক সাধারন সম্পাদক এবং পাগলা শাখার সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। ডাকাত জাকির পলাশের সহযোগীতা ফতুল্লা ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পালিয়ে গেলে জাকিরও আত্মগোপনে চলে যায়। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা শ্রমিক লীগ নেতা জাকিরকে শুক্রবার দুপুরে দেখা যায় ফতুল্লা থানার দাপা শাহজাহান রোলিং মিল ইয়াদ আলী মসজিদ এলাকায়।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুরে সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিন ইয়াদ আলী মসজিদে নামাজ পরে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুন হোসাইন হত্যা মামলার আসামী সদ্য কারামুক্ত জয়নালে বাড়ীতে যায়। সেখানেই দেখা যায় জাকিরকে।
তবে গিয়াসের সাথে কোন ছবি দেখা না গেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে শ্রমিক লীগ নেতা জাকিরের সাথে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ ও যুগ্ম সম্পাদক মুসলিম আহমেদ সহ বিএনপির একাধিক নেতৃবৃন্দের ছবি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরা ছবি দেখে ফতুল্লায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।
কারো কারো মতে ফতুলায় রাজনৈতিক অবস্থান শূন্যের কোঠায় থাকা সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিন নিজ বলয় শক্তিশালী করতে শ্রমিক লীগের চিহ্নিত ক্যাডার ডাকাত জাকিরের মতো একজন সন্ত্রাসীকে দলে ভেড়ানোর চেস্টা করছেন।
জানা যায়, ডাকাত জাকিরের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় বৈষম্য বিরোধী ৫-৬ টি হত্যা মামলা রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ম দ পল শ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’