জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের থেকে উপযুক্ত বিবেচনায় সম্মানের জায়গায় পুনর্বাসিত করার ও চাকরি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে ৩৬ জুলাই বিপ্লবের বীর শহীদদের সম্মানে আয়োজিত স্মরণ সভায় জামায়াতের আমির এ আহ্বান জানান। স্থানীয় সরকার বিভাগের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে জুলাই-২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি ও ন্যাশনাল ইয়ুথ অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ।

শহীদ পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়ার আহ্বান জানালেও এটাকে কোটা বলতে চাইছেন না শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এটার নাম কোটা নয়। কোটা হচ্ছে যুগ যুগ ধরে চৌদ্দগোষ্ঠীর কপালে যেটা ঝুলায়ে দেওয়া হয়, ওইটার নাম কোটা। এটি তাঁরা আমাদের কাছে চাননি। আমাদের কর্তব্য, তাঁদের হাতে এটি তুলে দিতে হবে।’

জামায়াতের আমির বলেন, শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের ৭০ শতাংশই ছিলেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তবু জাতির জন্য জীবন দিতে তাঁরা দ্বিধাবোধ করেননি। এখন তাঁদের পরিবারের দায়িত্ব দেশবাসীকে বিশেষ করে সরকারকে নিতে হবে। তিনি বলেন, শহীদ পরিবারের সদস্যরা কারও কাছে ভিক্ষা চান না। তাঁরা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চান।

শফিকুর রহমান বলেন, শহীদ পরিবারের সদস্যরা জুলাই সনদের দাবি জানিয়েছেন। এটা তো শুধু তাঁদের নয়, দেশের ১৮ কোটি জনগণের মুক্তির সনদ। এই সনদ করার দায়িত্ব দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা হচ্ছে। অথচ অগ্রাধিকার পড়ে আছে পেছনে।

রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের উদ্দেশ করে জামায়াতের আমির বলেন, জুলাইয়ে শহীদেরা জীবন না দিলে, তাঁদের থাকতে হতো কেরানীগঞ্জ বা কাশিমপুর কারাগারে। তাই সবকিছু বন্ধ রেখে আগে জুলাই সনদ করতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আহ ব ন জ র আম র

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ