গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ, আটক ৫
Published: 26th, July 2025 GMT
রাজধানীর গুলশানের একটি বাসায় সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পাঁচ যুবক হাতেনাতে ধরা পড়েছেন বলে জানা গেছে। শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগের সাবেক এক এমপির বাসায় চাঁদাবাজির চেষ্টা করেন।
আটকের পর তাদের গুলশান থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
গুলশান থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, “কিছুদিন আগে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাম্মী আহমেদের বাসায় সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। সাম্মী আহমেদ পলাতক। তাই তার স্বামীর কাছে এই চাঁদা দাবি করেন।”
আরো পড়ুন:
ঢাবির হলে অধূমপায়ীদের কক্ষে ধূমপায়ীদের সিট দেওয়া হবে না
ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক নামে শিক্ষকদের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ
গুলশান বিভাগের একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সমন্বয়ক পরিচয়ে রিয়াদ নামে এক যুবকের নেতৃত্বে তারা ওই বাসায় চাঁদাবাজি করতে গিয়েছিলেন।
গুলশান থানা সূত্র জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে রিয়াদসহ কয়েকজন সাবেক এক এমপির বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিছুদিন পর তারা ওই বাসায় আবার গিয়ে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসেন।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’