‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ একটি ফজিলতপূর্ণ তাসবিহ
Published: 27th, July 2025 GMT
রাসুল (সা.) বলেছেন, “দুটি বাক্য এমন আছে, যা উচ্চারণে হালকা, কিন্তু তা মিজানে (পরকালের তুলাদণ্ডে) ভারী এবং আল্লাহর নিকট অত্যন্ত প্রিয়। তা হলো: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি এবং সুবহানাল্লাহিল আযীম।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৬৮২; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬৮৪৬)।
সুতরাং বলা যায়, এটি একটি আধ্যাত্মিক অভিব্যক্তি, যা আল্লাহর মহত্ত্ব, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং তাঁর পবিত্রতার স্বীকৃতি প্রকাশ করে। এই জিকির মুমিনের জীবনে শান্তি, ঈমানের দৃঢ়তা এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পথ প্রশস্ত করে।
অর্থ ও তাৎপর্য‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ এর অর্থ হলো, “আল্লাহর প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করছি।”
এই জিকিরে দুটি মৌলিক বিষয় প্রকাশ পায়:
প্রথমত, ‘সুবহানাল্লাহ’ বলে আল্লাহর পবিত্রতা ও তাঁর সব ধরনের ত্রুটি থেকে মুক্তির স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
দ্বিতীয়ত, ‘ওয়া বিহামদিহি’ বলে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা প্রকাশ করা হয়।
কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, “তাঁরই প্রশংসা যিনি সবকিছুর রব এবং তিনি সকল ত্রুটি থেকে পবিত্র।” (সুরা ফাতিহা, আয়াত:২; সুরা ইসরা, আয়াত: ১১১)।
আরও পড়ুনইয়া জালালি ওয়াল ইকরামের ফজিলত১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪পাঠের ফজিলতহাদিসে এই জিকিরের বিশেষ ফজিলত উল্লেখ করা হয়েছে। রাসুল (সা.
আরেকটি হাদিসে আছে, “আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় বাক্য হলো ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২১৩৭)।
আরেক হাদিসে আছে, “যে ব্যক্তি সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ বলে, তার জন্য জান্নাতে একটি গাছ রোপণ করা হয়।” (জামে তিরমিজি, হাদিস: ৩৪৬৪)
হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় তিনবার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ বলবে, সে সব ধরনের বিপদ থেকে সুরক্ষিত থাকবে।” (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩৩৮৮)।
আরও পড়ুন‘ফজিলত’ বলতে কী বোঝায়১৩ জুলাই ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব হ মদ হ আল ল হ বল ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
রাইজিংবিডিতে সংবাদ প্রকাশ: ডেরা রিসোর্টের লাইসেন্স বাতিল
মানিকগঞ্জের ঘিওরের বালিয়াখোড়ায় অবস্থিত ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের নানা অনিয়ম নিয়ে রাইজিংবিডিতে ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ডেরা রিসোর্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহকারী নিয়ন্ত্রক (সিনিয়র সহকারী সচিব) শেখ রাশেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টার ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদন করেন। নানা অনিয়মের কারণে তাদের লাইসেন্স নামঞ্জুর করা হয়েছে। রিসোর্টের লাইসেন্স না থাকায় প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ‘ফসলি জমি দখল করে ডেরা রিসোর্ট নির্মাণ, বিপাকে কৃষক’; ১৯ মার্চ ‘ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ডেরা রিসোর্ট, তদন্ত কমিটি গঠন’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে রাইজিংবিডি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ডেরার লাইসেন্স নামঞ্জুর করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ইন্তাজ উদ্দিন বলেন, “অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডিতে ডেরা রিসোর্ট নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও ভোগান্তি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদক অনুসন্ধান করে ডেরা রিসোর্টের নানা অনিয়ম তুলে এনেছেন। প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসন লাইসেন্স বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে এটি ভালো উদ্যোগ। তবে এসব নির্দেশনা কাগজে কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবায়ন করাটাই বড় কাজ। নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে।”
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কপি পেয়েছি। সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক বলেন, “লাইসেন্সের বিষয়ে কোন নোটিশ এখনও পাইনি আমরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়েও জানা নেই। যদি লাইসেন্স বাতিল করে থাকে, তাহলে আমরা আইনিভাবে বিষয়টি সমাধান করব।”
এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এশিউর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ সাদীর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকা/চন্দন/এস