ওয়েস্ট ইন্ডিজের অদ্ভুত রেকর্ড, আবার হারল অস্ট্রেলিয়ার কাছে
Published: 27th, July 2025 GMT
গত ম্যাচের নায়ক ছিলেন টিম ডেভিড। তাঁর রেকর্ড সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২১৪ রান ২৩ বল বাকি থাকতেই তাড়া করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাতে সিরিজজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে বলে আজ আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে তাঁকে বিশ্রাম দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে ডেভিড না থাকলেও আরেকবার ২০০ রান তাড়া করতে খুব বেশি সমস্যা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার।
সেন্ট কিটসে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্যে ৩ উইকেট ও ৪ বল বাকি থাকতে পেরিয়েছে মিচেল মার্শের দল। এ নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সপ্তমবার ২০০ বা এর বেশি রান তুলেও হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যে বিব্রতকর রেকর্ড আর কোনো দলের নেই।
আগের ম্যাচে ডেভিড যেমন ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়ান রেকর্ড গড়েছেন, আজ কেউ তেমন কিছু করতে পারেননি। জশ ইংলিশ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ক্যামেরন গ্রিনদের মাঝারি কিন্তু বিধ্বংসী ইনিংসই দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছে। শুরুটা যদিও ভালো ছিল না। শূন্য রানেই ফেরেন অধিনায়ক মার্শ। পাওয়ার প্লেতে এরপর ঝড় তোলার দায়িত্ব নেন ইংলিশ ও ম্যাক্সওয়েল। ৩০ বলে ৫১ রান করে ইংলিশ যখন আউট হন, তখন অস্ট্রেলিয়ার রান ৬.
পাওয়ার প্লের পরের চার ওভারে ঝড় তোলেন ম্যাক্সওয়েল। ১৮ বলে ৬ ছক্কা ও ১ চারে করেন ৪৭ রান। এই ৪ ওভারে তিনি ছক্কা মেরেছেন ৫টি। অস্ট্রেলিয়াকে ১০.১ ওভারে ১২৯ রানে ম্যাক্সওয়েল ফেরেন বলে। এরপর গ্রিন খেলেছেন পরিস্থিতির মেজাজ বুঝে। ৩০ বলে করেছেন ফিফটি, মাঠ ছেড়েছেন দল জিতিয়ে।
অস্ট্রেলিয়ার দারুণ পারফরম্যান্সের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হারের পেছনে তাদের বাজে ফিল্ডিংও কম দায়ী নয়। তিনটি ক্যাচ মিসের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ফিল্ডিংও মিস করেছেন ক্যারিবীয়রা। এই জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ৪-০ তে এগিয়ে গেল।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০৫ রান তুলেছিল ‘সমবায় পদ্ধতিতে’। মানে কারও অবদান খুব বেশিও না, কমও না। রোস্টন চেজকে হিসাবের বাইরে রাখতে হবে, তিনি আউট হয়েছেন শূন্য রানে। বাকি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান এসেছে শেরফান রাদারফোর্ডের কাছ থেকে, ৩১ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান এসেছে রোমারিও শেফার্ড ও রোভম্যান পাওয়েলের ব্যাট থেকে।
কোনো ব্যাটসম্যান ৩২ রানও করতে পারেননি, এমন টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০৫ রানই সর্বোচ্চ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কোনো ফিফটি ছাড়া সর্বোচ্চ রান অস্ট্রেলিয়ার। ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২২১ রান করেছিল তারা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম য ক সওয় ল র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি ছেড়ে মুরগির খামারে বাজিমাত, আকরামের মাসে আয় অর্ধলাখ টাকা
একসময় অন্যের অধীনে চাকরি করতেন আকরাম। মাস শেষে নির্দিষ্ট বেতন মিলত ঠিকই, কিন্তু তাতে মনের খোরাক জুটত না। মনে হতো, জীবনটা কি শুধু এভাবেই যাবে? কিছু একটা নিজের মতো করে গড়ে তুলতে হবে। এই ভাবনাই তাঁকে টেনে এনেছিল নিজের মাটিতে, নিজের গ্রামে। শুরু করেছিলেন ছোট্ট এক খামার দিয়ে। সেই খামারই এখন তাঁর সফলতার সবচেয়ে বড় ঠিকানা। খামার থেকে এখন তাঁর মাসে আয় প্রায় অর্ধলাখ টাকা।
আকরাম মোল্যার বাড়ি নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের সিঙ্গিয়া গ্রামে। বাবা আবদুর সামাদ মোল্যার চার সন্তানের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তাঁদের সংসারে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। তাই ২০১৪ সালে এইচএসসিতে পড়ার সময়ই ভাগ্য বদলের আশায় চট্টগ্রামে পাড়ি দেন আকরাম। কাজ নেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। টানা তিন বছর চাকরি করে সিদ্ধান্ত নেন, আর নয় অন্যের হয়ে কাজ; এবার নিজের স্বপ্নের পথে হাঁটবেন।
২০১৭ সালে চাকরি ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসেন আকরাম। এ সময় পরিবার তাঁর পাশে দাঁড়ায়। তিন লাখ টাকা জোগাড় করে আকরাম শুরু করেন ‘ভাই ভাই অ্যাগ্রো ফার্ম’। শুরুতেই তোলেন দুই হাজার সোনালি জাতের মুরগির বাচ্চা। কিন্তু ভাগ্য তখন সহায় ছিল না। একে একে মারা যায় ১ হাজার ৬০০ বাচ্চা। একেবারে শুরুতেই এমন ধাক্কা অনেককেই হয়তো থামিয়ে দিত। তবে আকরাম হাল ছাড়েননি।
আকরাম বলেন, শুরুতেই এত বড় লোকসানে মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েন। কিন্তু ঠিক করেন—এখানেই থামবেন না। এরপর নতুন করে শুরু করলেন মিসরীয় ফাউমি মুরগির খামার, যাকে বলা হয় ‘ডিমের রাজা’। এই জাতটি রোগ প্রতিরোধে শক্তিশালী, ডিমও দেয় বেশি। ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করে বিক্রি শুরু করেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
খামারের একটি শেডে রাখা হয়েছে বড় মুরগিগুলো। এই মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করে বিক্রি করেন আকরাম। সম্প্রতি নড়াইল সদর উপজেলার সিঙ্গিয়া গ্রামে