গত ম্যাচের নায়ক ছিলেন টিম ডেভিড। তাঁর রেকর্ড সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২১৪ রান ২৩ বল বাকি থাকতেই তাড়া করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাতে সিরিজজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে বলে আজ আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে তাঁকে বিশ্রাম দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে ডেভিড না থাকলেও আরেকবার ২০০ রান তাড়া করতে খুব বেশি সমস্যা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার।

সেন্ট কিটসে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্যে ৩ উইকেট ও ৪ বল বাকি থাকতে পেরিয়েছে মিচেল মার্শের দল। এ নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সপ্তমবার ২০০ বা এর বেশি রান তুলেও হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যে বিব্রতকর রেকর্ড আর কোনো দলের নেই।

আগের ম্যাচে ডেভিড যেমন ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়ান রেকর্ড গড়েছেন, আজ কেউ তেমন কিছু করতে পারেননি। জশ ইংলিশ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ক্যামেরন গ্রিনদের মাঝারি কিন্তু বিধ্বংসী ইনিংসই দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছে। শুরুটা যদিও ভালো ছিল না। শূন্য রানেই ফেরেন অধিনায়ক মার্শ। পাওয়ার প্লেতে এরপর ঝড় তোলার দায়িত্ব নেন ইংলিশ ও ম্যাক্সওয়েল। ৩০ বলে ৫১ রান করে ইংলিশ যখন আউট হন, তখন অস্ট্রেলিয়ার রান ৬.

১ ওভারে ৬৬।

পাওয়ার প্লের পরের চার ওভারে ঝড় তোলেন ম্যাক্সওয়েল। ১৮ বলে ৬ ছক্কা ও ১ চারে করেন ৪৭ রান। এই ৪ ওভারে তিনি ছক্কা মেরেছেন ৫টি। অস্ট্রেলিয়াকে ১০.১ ওভারে ১২৯ রানে ম্যাক্সওয়েল ফেরেন বলে। এরপর গ্রিন খেলেছেন পরিস্থিতির মেজাজ বুঝে। ৩০ বলে করেছেন ফিফটি, মাঠ ছেড়েছেন দল জিতিয়ে।

অস্ট্রেলিয়ার দারুণ পারফরম্যান্সের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হারের পেছনে তাদের বাজে ফিল্ডিংও কম দায়ী নয়। তিনটি ক্যাচ মিসের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ফিল্ডিংও মিস করেছেন ক্যারিবীয়রা। এই জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ৪-০ তে এগিয়ে গেল।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০৫ রান তুলেছিল ‘সমবায় পদ্ধতিতে’। মানে কারও অবদান খুব বেশিও না, কমও না। রোস্টন চেজকে হিসাবের বাইরে রাখতে হবে, তিনি আউট হয়েছেন শূন্য রানে। বাকি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান এসেছে শেরফান রাদারফোর্ডের কাছ থেকে, ৩১ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান এসেছে রোমারিও শেফার্ড ও রোভম্যান পাওয়েলের ব্যাট থেকে।

কোনো ব্যাটসম্যান ৩২ রানও করতে পারেননি, এমন টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০৫ রানই সর্বোচ্চ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কোনো ফিফটি ছাড়া সর্বোচ্চ রান অস্ট্রেলিয়ার। ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২২১ রান করেছিল তারা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম য ক সওয় ল র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন

অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।

এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।

অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’

অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’

এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।

আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলতে চান রিকশাচালক শফিকুল
  • রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
  • ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
  • ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার