আরও এক সেঞ্চুরিতে ব্র্যাডম্যান-গাভাস্কারদের পাশে গিল
Published: 27th, July 2025 GMT
শুভমন গিল ভারতীয় ক্রিকেটের এক তরতাজা আশার নাম। অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফির উত্তেজনায় ভরা চতুর্থ টেস্টে আবারও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন তিনি। রোববার (২৭ জুলাই) ম্যানচেস্টারে, চতুর্থ টেস্টের পঞ্চম দিনে দুর্দান্ত এক ইনিংসে তুলে নিলেন আরও একটি শতরান। আর সেই সঙ্গে জায়গা করে নিলেন ইতিহাসের পাতায়— স্যার ডন ব্র্যাডম্যান এবং সুনীল গাভাস্কারের মতো কিংবদন্তিদের পাশে।
২২৮ বলের ধৈর্যশীল ইনিংসে ১২টি চারের সাহায্যে শতরানের সেই ‘তিন অঙ্কের জাদুকরী সংখ্যা’ ছুঁয়ে ফেলেন গিল। যেন এক নিখুঁত শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবি—শান্ত, স্থির, অথচ দৃপ্ত।
এই শতরান ছিল তার চতুর্থ এই সিরিজে। যার মাধ্যমে অধিনায়ক হিসেবে এক টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ শতরানের রেকর্ডে ভাগ বসালেন। ইতিহাস বলছে, এর আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন কেবল দুই মহারথী; ডন ব্র্যাডম্যান (ভারতের বিপক্ষে, অস্ট্রেলিয়ায়) এবং সুনীল গাভাস্কার (ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ভারতে)। এখন তাদের কাতারেই নাম লিখিয়ে নিলেন শুভমন গিল।
আরো পড়ুন:
টেস্টে ৩৮তম সেঞ্চুরিতে সাঙ্গাকারার রেকর্ড ছুঁলেন রুট
টেস্ট ক্রিকেটে রানের পাহাড়ে রুট, হুমকির মুখে শচীনের রেকর্ড
উল্লেখ্য, এটাই তার অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজ। প্রথম দায়িত্বেই গৌরবময় এক অধ্যায়ে নাম লেখা, তাও ব্র্যাডম্যান-গাভাস্কারদের পাশে; এটা কেবল একজন প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান নয়, এক সম্ভাবনাময় নেতার উত্থানও।
অধিনায়ক হিসেবে এক টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ শতরানের রেকর্ড:
১.
শুভমন গিল*– ৪টি (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ইংল্যান্ডে),
২. ডন ব্র্যাডম্যান– ৪টি (ভারতের বিপক্ষে, অস্ট্রেলিয়ায়),
৩. সুনীল গাভাস্কার– ৪টি (ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ভারতে)।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড র র কর ড শতর ন
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’