‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা’ পছন্দ হয়নি মিনহাজুলের
Published: 27th, July 2025 GMT
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেও তাদেরকে হোয়াইটওয়াশ করা হয়নি বাংলাদেশের। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে শেষ হয়। শেষ ম্যাচে নিয়মিত একাদশের ৫ ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেয় দল। বেঞ্চ পরীক্ষার সুযোগটি হাতছাড়া করতে চায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু বড় ধরনের পরিবর্তন এনে হারের তিক্ত স্বাদ পায় স্বাগতিকরা।
বেঞ্চ পরীক্ষার বিষয়টিকে সামনে এনে অধিনায়ক লিটন বলেছিলেন, ‘‘আমাদের যে ১৬ জনের স্কোয়াড, সবার সামর্থ্য আছে ম্যাচ খেলার। যাদেরকে খেলানো হয়েছে, সবাই ভালো পারফর্মার। কিছু কিছু ব্যাপার ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা করতে হবে। সেজন্যই আজকে সবাইকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।’’
তবে লিটনের এই কথার সঙ্গে একমত নন জাতীয় দলের সাবেক নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। মিনহাজুল এখন বিসিবির প্রধান প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী হিসেবে যুক্ত আছে। তার অধীনে চলছে বিসিবির ম্যাচ রেফারিজ ট্রেনিং প্রোগ্রাম। প্রোগ্রাম শেষে বেরিয়ে গণমাধ্যমে মিনহাজুল আবেদীন বলেছেন, ‘‘অনেকগুলো খেলোয়াড়কেও শেষ ম্যাচে দেখা হয়েছে। আমার মনে হয় ওই জায়গায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে.
আরো পড়ুন:
১০৪ রানে অল আউট হয়ে ৭৪ রানে হারল বাংলাদেশ
মাদক-সন্ত্রাস দমনে একসঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান
শেষ ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয় দারুণ ফর্মে থাকা পারভেজ হোসেন ইমনকে। অসুস্থ ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। চমৎকার বোলিং করা মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেনও ছিলেন বিশ্রামে। তানজিম হাসান সাকিবকেও সরে যেতে হয়েছে। তাদের জায়গায় ম্যাচ খেলেছেন নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ। একাদশে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। এদের মধ্যে নাসুম ছাড়া সবাই ব্যর্থ। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়কে মোটেও ছোট করছেন না তিনি, ‘‘অবশ্যই একটা ভালো অর্জন। যেকোনো সিরিজ জেতা সামনের সিরিজে ভালো খেলার জন্য দলকে যথেষ্ট সাহস দেবে। আমি বলবো যেহেতু সামনে আর বেশি সময় নেই বিশ্বকাপের, সামনে এশিয়া কাপ আছে—সেই জায়গায় আমার মনে হয় পুরো ২০ জনের একটা পুল করে এগোনো উচিত এবং সম্ভাব্য সেরা খেলোয়াড়দের বেশিরভাগ ম্যাচগুলোতে সুযোগ দেয়া উচিত।’’
ভারত বাংলাদেশ সফর পিছিয়ে দেওয়ায় এশিয়া কাপের আগে লম্বা সময় পেয়েছে বাংলাদেশ। আগস্টে বাংলাদেশ তিন সপ্তাহের ক্যাম্প করবে। বিসিবির পরিকল্পনা করছে এ সময়ে দ্বিপক্ষীয় কোনো সিরিজ আয়োজন করা যায় কিনা। তবে খেলোয়াড়দের চাঙা রাখতে টানা খেলার ভেতরে থাকায় বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিলেন মিনহাজুল, ‘‘দেখুন— টানা অনেকগুলো সিরিজ খেলেছে খেলোয়াড়রা। এখানে কিন্তু ওদেরও মানসিকভাবে চাঙা হওয়া একটা দরকার আছে। সেই জায়গায় কিন্তু খুব জোর করে চাপিয়ে দেয়া, খেলানো—এটার পক্ষে নই। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করি খেলোয়াড়দেরও একটু চাঙা হওয়ার দরকার আছে। এই জায়গা থেকে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যদি ছোট একটা সিরিজ খেলে এশিয়া কাপে যায়, এটা অবশ্যই লাভবান হবে। এখন যে সময়টা আছে তাতে খেলোয়াড়রা একটু চাঙা হওয়ার সুযোগ পাবে। চাঙা হয়ে আবার যাতে শুরু করতে পারে। তাহলে এটা তাদের জন্য ভালো হবে।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’