বান্দরবানে যুবককে পাথর দিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
Published: 27th, July 2025 GMT
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় উথোয়াইশৈ মারমা (১৮) নামে এক যুবককে পাথর দিয়ে হত্যার পর নদীতে লাশ ফেলে দেওয়ার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৭ জুলাই) রাত ৮টার দিকে বান্দরবান জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিহত উথোয়াইশৈ মারমা রোয়াংছড়ি উপজেলার ৪ নম্বর নোয়াপতং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের খক্ষ্যং পাড়ার বাসিন্দা শৈচনু মারমার ছেলে।
আরো পড়ুন:
নির্দোষ মানুষকে আসামি করায় তদন্তে সময় লাগছে : উপদেষ্টা
দয়াগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে একজনকে কুপিয়ে হত্যা
গ্রেপ্তার দুইজন হলেন, ৩ নম্বর আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড শীলবান্ধা পাড়ার সাবেক ইউপি সদস্য সিংনুমং মারমার ছেলে উনুসিং মারমা (২৬) এবং একই পাড়ার লোওয়াইসামং মারমার ছেলে হ্লাথোয়াইহ্রী মারমা (২৮)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৫ জুলাই নিহত উথোয়াইশৈ এবং গ্রেপ্তার উনুসিং মারমা ও হ্লাথোয়াইহ্রী মারমা মিলে শিলবান্ধা পাড়া এলাকার তারাছা খালের তীরের টং ঘরে আড্ডা দিতে যায়। সেখানে তারা মদ পান করেন। মদ্যপ্য অবস্থায় নিহত উথোয়াইশৈ সঙ্গে অন্য দুইজনের কথা কাটাকাটি এবং ধস্তা-ধস্তি হয়। এক পর্যায়ে উনুসিং মারমা ও হ্লাথোয়াইহ্রী মারমা বাঁশ দিয়ে উথোয়াইশৈ মসরমাকে মারধর করে থাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দেন।
এরপর তারা দুইজন পুনরায় নদীতে নেমে পানি থেকে টেনে নদীর মাঝখানে থাকা পাথর খণ্ডের উপর তুলে বুকের উপর চেপে ধরে এবং অপরজন একটা পাথর নিয়ে নিহতের মাথায় ও মুখে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ নদীর স্রোতের মধ্যে ভাসিয়ে দেন।
উথোয়াইশৈ মারমা নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে অবগত হওয়ার পর বান্দরবান পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ও রোয়াংছড়ি থানার একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। আসামিদের প্রাথমিক স্বীকারোক্তি এবং দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত ও নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকা/মং/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ব ন দরব ন
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় বিবাদমান দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এক যুবদল নেতাসহ কয়েকজন আহত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা জানায়, জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারিকান্দি এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাসির বেপারী এবং তাজুল ছৈয়ালের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের লোকজন হাতবোমা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকটি বসতবাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। হাতবোমার আঘাতে যুবদল নেতা সালাউদ্দিন বেপারী, কামাল বেপারীসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহত দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
আরো পড়ুন:
ড্যাফোডিল-সিটি ইউনিভার্সিটি সংঘর্ষ: শিক্ষার্থীদের আসামি করে পাল্টাপাল্টি মামলা
শিশুদের ঝগড়া থেকে বড়দের সংঘর্ষ, আহত ৫০
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। দুইজনকে আটক করা হয়েছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘যারা এই নাশকতা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ইউপি সদস্য নাসির বেপারীর স্ত্রী সাবিনা আক্তার বলেন, ‘‘আমরা বাড়িতে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। বোমার শব্দে ঘুমে ভেঙে যায়। উঠে দেখি আমাদের বাড়িতে বোমা হামলা হচ্ছে। জানালার গ্লাস ভেঙে ধোঁয়ার রুম ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন তাজুল ছৈয়াল, মমতাজ বেপারী, মন্নাপ বেপারী, সুজন, রনি ভূঁইয়া, টিপু মাদবর হামলা চালিয়েছে।’’ তিনি দোষীদের বিচারের দাবি জানান।
আহত সালাউদ্দিনের স্ত্রী সুমি বলেন, ‘‘আমার স্বামী ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। বোমার শব্দে জানালার কাছে গেলে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। পরিকল্পিতভাবে এই হামলা হয়েছে।’’ তিনি জীবনের নিরাপত্তার পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি চান।
উল্টো অভিযোগ করেছেন চম্পা আক্তার নামের এক নারী। তিনি বলেন, ‘‘সালাউদ্দিন বেপারী, নাসির বেপারী, ইব্রাহিম বেপারীরা আমাদের বাড়িঘরে বোমা হামলা করেছে। তারা আমাদের হুমকি দিয়েছে, বাড়িঘরে থাকতে দেবে না। আমরা এলাকায় শান্তি চাই।’’ যারা হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
তাজুল ছৈয়ালের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘরটি তালাবদ্ধ ছিল।
ঢাকা/আকাশ/বকুল