গ্রিস এবং পশ্চিম বলকান অঞ্চলজুড়ে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার শতাধিক অগ্নিনির্বাপক কর্মী দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, দক্ষিণ ইউরোপ চলতি গ্রীষ্মের তৃতীয় তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে। অ্যাথেন্সের ২৫ কিলোমিটার উত্তরে দ্রোসোপিগি গ্রামে বিশাল ধোঁয়ার মেঘ ঢেকে যাওয়ার সাথে সাথে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। এই এলাকাগুলোতে দাহ্য পদার্থের কারখানা রয়েছে। হেলিকপ্টার থেকে পানি ফেলা হচ্ছে এবং ১৪৫ জন দমকলকর্মী আগুন নেভাতে কাজ করেছেন। তাদের সহায়তায় নিয়োজিত রয়েছে ৪৪টি গাড়ি, সাতটি হেলিকপ্টার এবং ১০টি বিমান। গ্রিস ও আলবেনিয়ার কিছু গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুটি বাড়িতে আগুন লেগেছে। নিকটবর্তী ক্রিয়োনেরি গ্রামের বাসিন্দাদের কর্তৃপক্ষ এথেন্সের দিকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টের কারণে পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গ্রীক আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শনিবার গ্রীসে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। গত ২৪ ঘন্টায় ৫২টি কৃষি বনায়নে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

প্রতিবেশী আলবেনিয়ায় শনিবার ২৬টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। শুক্রবার দক্ষিণ আলবেনিয়ার ডেলভিনার কাছে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনজন আহত হন এবং প্রায় দুই হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

গ্রীক দ্বীপ ইভিয়ায় আগুন নেভানোর জন্য ১২৮ জন অগ্নিনির্বাপক কর্মী। ২৯টি গাড়ি, ছয়টি বিমান এবং সাতটি হেলিকপ্টারের সাহায্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তারা। কিন্তু তীব্র বাতাস তাদের প্রচেষ্টা ব্যাহত করছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ