এক হবু সম্রাটের হত্যাই কি ডেকে এনেছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
Published: 28th, July 2025 GMT
১১১ বছর আগে রৌদ্রোজ্জ্বল এক সকালে বসনিয়ার সারায়েভোর সড়কগুলোতে সাজ সাজ রব। সস্ত্রীক সফরে আসছেন অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার আর্চডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দ। সড়কপথে ছাদখোলা বিলাসবহুল গাড়িতে আসছেন তাঁরা। তাঁদের দেখতে সড়কের দুপাশে উপচে পড়া মানুষের ভিড়। কে জানত ওই ভিড়েই লুকিয়ে আছেন আততায়ী।
সেদিন ভিড়ের ভেতর থেকে পিস্তল হাতে বেরিয়ে আসেন গ্যাভরিলো প্রিনসিপ নামের এক যুবক। খুব কাছ থেকে দুটি গুলি ছোড়েন তিনি। একটি লাগে আর্চডিউক ফার্দিনান্দের গলায়, আরেকটি তাঁর স্ত্রী সোফির পেটে। দুজন গাড়িতেই নিথর হয়ে পড়েন। মারা যাওয়ার আগে আর্চডিউকের শেষ কথা ছিল, ‘সোফি, সোফি, মরে যেয়ো না…বাচ্চাদের জন্য বেঁচে থাকো।’ সেদিন ছিল তাঁদের বিবাহবার্ষিকী।
গ্যাভরিলো প্রিনসিপ ছিলেন একজন সার্ব জাতীয়তাবাদী। প্রিনসিপ এবং অন্য জাতীয়তাবাদীরা বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার ওপর অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির শাসনের অবসান ঘটাতে সংগ্রাম করছিলেন। বসনিয়া–হার্জেগোভিনার সামরিক গভর্নর অস্কার পোটিওরেকের অনুরোধে আর্চডিউক ফার্দিনান্দের সারায়েভো সফরে বসনীয় ও সার্ব জাতীয়তাবাদীরা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। তাঁরা এ সফরকে সাম্রাজ্যবাদী দখলের প্রতীক হিসেবে দেখেছিলেন।
দুজন গাড়িতেই নিথর হয়ে পড়েন। মারা যাওয়ার আগে আর্চডিউকের শেষ কথা ছিল, ‘সোফি, সোফি, মরে যেয়ো না…বাচ্চাদের জন্য বেঁচে থাকো।’ সেদিন ছিল তাঁদের বিবাহবার্ষিকী।ভাবী সম্রাটকে হত্যার মাধ্যমে অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় শাসনকে ধাক্কা দিয়ে ওই জাতীয়তাবাদীরা স্বাধীনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারেননি, তাঁদের এ কাজ গোটা বিশ্বকে প্রাণঘাতী এক দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে, সূচনা হবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের।
সোমের প্রথম যুদ্ধ চলাকালে ১৯১৬ সালের নভেম্বর মাসে ফ্রান্সে এক কানাডীয় সেনা কামানের গায়ে বড়দিনের শুভেচ্ছাবার্তা লিখছেন। ইতিহাসের অন্যতম রক্তক্ষয়ী এ যুদ্ধে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষ হতাহত হন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাগদানের গুঞ্জনের মাঝে হুমার রহস্যময় পোস্ট
অনেক দিন ধরে গুঞ্জন উড়ছে, অভিনয় প্রশিক্ষক রচিত সিংয়ের সঙ্গে প্রেম করছেন বলিউড অভিনেত্রী হুমা কুরেশি। যদিও তারা এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি। কয়েক দিন আগে জানা যায়, দীর্ঘ দিনের কথিত প্রেমিক রচিতের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছেন হুমা কুরেশি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল জানিয়েছে, এক বছরের বেশি সময় লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার পর বাগদান সম্পন্ন করেছেন তারা। যদিও এই খবরের কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি হুমা।
আরো পড়ুন:
আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
‘উদয়ের সঙ্গে ব্রেকআপের পর অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম’
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ইনস্টাগ্রামে একটি রহস্যময় বার্তা শেয়ার করেছেন এই অভিনেত্রী। হুমা তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে রামেন বাউলের ছবি শেয়ার করে লেখেন, “প্রত্যেকেরই শান্ত হওয়া প্রয়োজন… আর শান্তভাবে কাজ করা উচিত।” পাশাপাশি জানান, তিনি বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থান করছেন।
এর আগে হুমা-রচিতের ঘনিষ্ঠজন হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, “হুমা তার দীর্ঘ দিনের প্রেমিক, অভিনয় প্রশিক্ষক রচিত সিংয়ের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছেন।”
হুমা ও রচিতের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়, তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, গায়িকা আকাসা সিংয়ের শেয়ার করা একটি ছবিকে কেন্দ্র করে। এ ছবির ক্যাপশনে আকাসা লেখেন, “এক টুকরো এই স্বর্গের জন্য তোমাদের অভিনন্দন। দারুণ একটি রাত কেটেছে।”
এ ঘটনার কিছুদিন পর, হুমা ও রচিতকে একসঙ্গে দেখা যায় সোনাক্ষী সিনহা ও জহির ইকবালের বিয়েতে, দুজনেই সেদিন পরেছিলেন গোলাপী রঙের পোশাক। তাদের রসায়ন ছিল চোখে পড়ার মতো এবং ভক্তরা দ্রুত অনলাইনে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন এই রহস্যময় ব্যক্তিটিকে (রচিত) নিয়ে।
সম্প্রতি, রচিতের ঘনিষ্ঠ একজনের জন্মদিন উদযাপনের সময় আবারো তাদের একসঙ্গে দেখা যায়, যা তাদের বাগদান নিয়ে জল্পনা আরো বাড়িয়ে তোলে। তবে বাগদান নিয়ে নানা চর্চা চললেও সরাসরি একটি কথাও বলেননি হুমা কিংবা রচিত।
রচিত সিংহ একজন নামকরা অভিনয় প্রশিক্ষক। রচিত সিং ওয়ার্কশপ নামে তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে ১০০টিরও বেশি কর্মশালা পরিচালনা করেছেন রচিত। তার কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন—গুলশন দেবাইয়া, ইমাদ শাহ, কুণাল কাপুর, পূজা হেগডে, হর্ষবর্ধন রানে, অমৃতা সুবাস, সহানা গোস্বামী, অহনা কুমারা, রণবীর সিং, বরুণ ধাওয়ান, ভিকি কৌশল, অনুশকা শর্মা, অনীত পড্ডা, শানায়া কাপুরের মতো অভিনয়শিল্পীরা।
এর আগে পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার মুদাসসার আজিজের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছেন বলিউড অভিনেত্রী হুমা কুরেশি। দীর্ঘ ৩ বছর সম্পর্কে ছিলেন তারা। ২০২২ সালের শেষের দিকে জানা যায়, ভেঙে গেছে এই সম্পর্ক।
ঢাকা/শান্ত