মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: হুমায়রার কবরে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধা
Published: 28th, July 2025 GMT
ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের একটি ভবনের ওপর প্রশিক্ষণরত যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত টাঙ্গাইলের সখীপুরের মেহনাজ আফরিন হুমায়রার কবরে বিমান বাহিনীর প্রধানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এ সময় পরিবারের সদস্যরা সখীপুরের বীরউত্তম সুলতান মাহমুদ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি হুমায়রার নামে করার দাবি জানান।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলার হতেয়া কেরানিপাড়া এলাকায় হুমায়রার কবরে বিমান বাহিনীর প্রধানের পক্ষে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বীরউত্তম সুলতান মাহমুদ বিমান ঘাঁটির উইং কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় হুমায়রার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। পরে বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মেহনাজ আফরিন হুমায়রা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। একই দুর্ঘটনায় নিহত মির্জাপুরের নয়াপাড়া গ্রামের তানভীর আহমেদের কবরেও বিমান বাহিনীর প্রধানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
আরো পড়ুন:
রাহুল-শ্রদ্ধার ছবি ভাইরাল, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা নিয়ে প্রশ্ন রাভিনার
ফুলেল শ্রদ্ধায় রানা প্লাজার নিহতদের স্মরণ
বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বিমান বাহিনী সব সময় দেশ ও জনগণের পাশে রয়েছে। তিনি এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন।
তিনি আরো জানান, আহতদের সহযোগিতার জন্য বিমান বাহিনী ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছে। বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে তিনি নিহত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পরে মির্জাপুরে নিহত তানভীর আহমেদের কবরে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার কথাও জানান তিনি।
হুমায়রার পরিবারের সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, হুমায়রা মেধাবী ছাত্রী ছিল। বড় হয়ে চিকিৎসক হওয়ার কথা ছিল তার। সখীপুরের বিমান ঘাঁটি হুমায়রার নামে করার দাবি জানান তিনি।
ঢাকা/কাওছার/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব র র র কবর
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’