মাস শেষে হাতে কিছু টাকা রাখার ৭টি উপায়
Published: 31st, July 2025 GMT
১. খরচের হিসাব রাখুন
প্রতিদিন কত টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে, সেটার হিসাব না থাকলে কোথায় টাকা অপচয় হচ্ছে, তা-ও জানা যাবে না। খাতা বা মুঠোফোনের নোট অ্যাপে খরচ লেখার অভ্যাস শুরু করুন। মাস শেষে কোন কোন খরচ ছিল অপ্রয়োজনীয়, তা খুঁজে বের করা সহজ হবে। এটা করলে পরবর্তী মাস থেকে আপনি হয়তো আরও সাবধানী হয়ে যাবেন।
২. মাসের শুরুতেই তৈরি করুন বাজেটবেতন হাতে পাওয়ার পরই খরচের পরিকল্পনা করে নিন। বাসাভাড়া, খাবার, যাতায়াত, বিদ্যুৎ, পানি, জরুরি খরচ ইত্যাদি মিলিয়ে মোট বাজেট তৈরি করুন। তারপর হিসাব করুন হাতে কত টাকা রাখলে চলতে পারবেন।
৩.হুজুগে খরচ বন্ধ করুন
সামান্য অজুহাতে চট করে রাইড শেয়ার, ঝটপট ফুড ডেলিভারি বা অনলাইন অর্ডার করে ফেলেন? এসব খরচ ছোট মনে হলেও মাস শেষে বড় অঙ্কের টাকা চলে যায় এসবের পেছনেই। তাই পরিকল্পনা ছাড়া এমন খরচ বন্ধ করুন।
আরও পড়ুনমেসির ৬০০ কোটি টাকা দামের বাড়িতে কী কী আছে১৫ ঘণ্টা আগে৪. সঞ্চয় খাতা খুলুনমাসের শুরুতেই আপনার আয় থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ সরিয়ে সঞ্চয় হিসেবে রাখুন। পাশাপাশি তা আলাদা একটি খাতায় টুকেও রাখুন। মনে রাখবেন, ‘যা বাঁচে তা জমাব’ না বলে বরং ‘আগে জমাব, পরে খরচ করব’ এই নীতি অনুসরণ করাই ভালো।
৫. সেল ও ডিসকাউন্টে কেনাকাটা নয়‘অফার শেষ হওয়ার আগে কিনুন’—এমন প্রলোভনে পড়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা থেকে বিরত থাকুন। আপনার সত্যিই কোনো জিনিস লাগছে কি না, সেটা বুঝে তারপর কেনাকাটা করুন।
আরও পড়ুনযেসব বদভ্যাসের কারণে একজন ব্যক্তি আজীবন দরিদ্রই থেকে যায়১৭ জুলাই ২০২৫৬. মাসে এক দিন কেনাকাটাবিহীনমাসে অন্তত এক দিন এক টাকাও খরচ করবেন না। পরিবারের সঙ্গে বিনা খরচে সময় কাটান। এমন দিনে বই পড়ুন, হাঁটতে বের হন, বাসায় বসে টিভিতে কিছু দেখুন, ঘরের খাবার খান, গাছপালার যত্ন নিন, বাসার ছোটদের সঙ্গে খেলুন। এমন অভ্যাস ধীরে ধীরে খরচ কমাতে সহায়ক হবে।
৭. ধার করবেন নাকোনো মাসে পকেটে টান পড়লে সহজেই ধার নেন? বারবার ধার নেওয়ার অভ্যাস মাস শেষে ঘাটতি আরও বাড়িয়ে দেয়; বরং কিছু খরচ কাটছাঁট করুন এবং ধার নেওয়া এড়িয়ে চলুন।
সূত্র: ক্যাশ কোর্স
আরও পড়ুন‘লুডোর বোর্ড’ গায়ে চাপিয়ে ছক্কা মারলেন কীর্তি সুরেশ১০ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: খরচ ক
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’