খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব স্থগিত
Published: 31st, July 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে এবং নিজেকে তাঁর লিয়াজোঁ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে মোতাল্লেস হোসেন নামের এক ব্যক্তি অর্থ আদায় করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগে ওই ব্যক্তি ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ১৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল বুধবার আদালতের আদেশ অনুযায়ী সিআইডি এই পদক্ষেপ নেয়। আজ বৃহস্পতিবার সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, এসব ব্যাংক হিসাবে মোট ৫ কোটি ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৭৮২ টাকা রয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুসন্ধানকালে পাওয়া বিভিন্ন প্রতিবেদন ও নথি এবং ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মোতাল্লেস হোসেন এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের হিসাবে প্রায় পৌনে ২৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। অর্থ পাচার এবং অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদের সঙ্গে এর সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখতে তাঁর স্থাবর সম্পত্তি ও আর্থিক কার্যক্রম পর্যালোচনার কাজও চলমান রয়েছে।
এ ছাড়া প্রতারণার শিকার ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং ওই ঘটনায় জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের অন্য সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করার কার্যক্রমও অব্যাহত রেখেছে সিআইডি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স আইড
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’