এক নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটেছে। খুনি শুধু খুন করেই ক্ষান্ত হননি, কেটে নিয়েছেন হতভাগ্য তরুণীর মাথা। মেয়েটির নাম এশা (পূজা ক্রুজ)। তিনি ছিলেন নার্সিং কলেজের ছাত্রী। এশার মৃতদেহটা যেদিন খুঁজে পায় পুলিশ, সেদিনই গোয়েন্দা বিভাগ থেকে মফস্‌সলের ওই থানায় বদলি হয়ে আসেন লীনা (আজমেরী হক বাঁধন)। এসেই জটিল এই হত্যা-রহস্যের মুখোমুখি হন। ক্লু ধরে রহস্যের জট খুলতে মাঠে নামেন লীনা। শুরুতে জানা যায়, ৩৯ বার স্ক্রু দিয়ে হার্টে আঘাত করে এশাকে হত্যা করা হয়েছে। মূল সন্দেহভাজন আবার মোটর মেকানিক। তবে যাঁদের দিকে সন্দেহের তির, তাঁরাই কি প্রকৃত খুনি? নাকি ঘটনার পেছনে রয়েছে মনোবিকারগ্রস্ত ভয়ংকর এক ঠান্ডা মাথার খুনি? এমন গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে সানি সানোয়ারের সিনেমা ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। গত পবিত্র ঈদুল ফিতরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর প্রশংসিত হয় সিনেমাটি। আজ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে পুলিশি তদন্ত–ঘরানার সিনেমাটি।

প্রাথামিকভাবে ঠিক হয়েছিল, সিনেমাটি ২৪ জুলাই ওটিটিতে আসবে। রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের দুর্ঘটনায় এটি পিছিয়ে দেওয়া হয়।
সিনেমাটি নিয়ে বাঁধন বলেন, ‘বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে নারী চরিত্রের এ রকম অনবদ্য উপস্থাপনের পরিকল্পনায় মুগ্ধ হয়ে আমি সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত হই। সানী ভাইয়ের গল্প বলার ধরন এবং উপস্থাপন কৌশলের ওপর আস্থা ছিল। সেটাই হয়েছে, মুক্তির পর সিনেমাটির প্রশংসা করেছেন দর্শকেরা।’

‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পোস্টার থেকে। ছবি: ফেসবুক থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভুল ফলাফল

প্রতিবছর পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরই ভুল রেজাল্ট নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ ওঠে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শত শত শিক্ষার্থী প্রতিবছর জানায়, তাদের প্রাপ্ত নম্বর সঠিক নয়, জিপিএ মেলে না, এমনকি ভালো পরীক্ষা দেওয়ার পরও ফলাফল ‘ফেল’ দেখাচ্ছে। এই ভুলের চরম খেসারত দিতে হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। কেউ ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়, কেউ মানসিক ভারসাম্য হারায়, কেউ কেউ আত্মহননের পথ বেছে নেয়। এটি শুধু ভয়াবহ নয়, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য চরম লজ্জারও।

অভিযোগ বারবার উঠলেও শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে কোনো দায় স্বীকার বা জবাবদিহির প্রবণতা দেখা যায় না। সবকিছু চাপানো হয় ‘টেকনিক্যাল সমস্যা’ কিংবা ‘সিস্টেম ত্রুটি’র ওপর। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই সিস্টেম ত্রুটি কেন বারবার হয়? কেন এখনো আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য সফটওয়্যার এবং যথাযথ যাচাই-বাছাই পদ্ধতি গড়ে তোলা হয়নি?

একটি শিক্ষার্থীর জীবনে ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি নম্বর কম বা বেশি হওয়া মানে তার স্বপ্নভঙ্গ। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোর শিক্ষার্থীরা সীমিত সুযোগ নিয়ে ভবিষ্যৎ গড়ার চেষ্টা করে। ভুল রেজাল্ট তাদের সেই প্রচেষ্টাকে ধ্বংস করে দেয়।

এই সংকট নিরসনে শিক্ষা বোর্ডের উচিত ফল প্রকাশের আগে কঠোরভাবে যাচাই-বাছাই করা, রিভিউ বা পুনর্নিরীক্ষার ফি ও সময়সীমা হ্রাস করে তা সহজলভ্য করা এবং যঁারা এ ধরনের ভুল করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

স্বপন বিশ্বাস

স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রধান শিক্ষক

শালিখা, মাগুরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ