ইঞ্জিনে আটকে যাওয়া অটোরিকশাকে এক কিলোমিটার টেনে নিয়ে যায় ট্রেন
Published: 2nd, August 2025 GMT
হঠাৎ রেললাইনে উঠে আসা অটোরিকশাটি আটকে যায় ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে। আর ওই অবস্থায় ট্রেনটি প্রায় এক কিলোমিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় অটোরিকশাটিকে। ট্রেনটি থামার পর দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অটোরিকশটাটি ছিটকে পড়ে বেশ দূরে
কক্সবাজারের রামুতে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, রেললাইনে উঠে আসা অটোরিকশাটি ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেছে। এতে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ যাত্রীর সবারই।
আজ শনিবার বেলা দেড়টায় রামুর রশিদনগরের ধলিরছড়া রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় অটোরিকশার চালক হাবিব উল্লাহ (৫০), ভারুয়ালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছাদকপাড়ার রেণু আরা (৪৫) ও তাঁর বোন আসমা আরা (১৩), রেণু আরার তিন বছর ও দেড় বছর বয়সী দুই ছেলে আশেক উল্লাহ ও আতা উল্লাহ নিহত হন। এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ধলিরছড়া রেলক্রসিংয়ে অবস্থান নিলে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে পড়ে।
রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রেললাইনে উঠে যাওয়া অটোরিকশাটি ইঞ্জিনের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এরপর চলন্ত ট্রেনটির ইঞ্জিনে আটকে যায়। ট্রেনটি অটোরিকশাকে টেনে নিয়ে যায় এক কিলোমিটার দূরে।
আরও পড়ুনকক্সবাজারে ট্রেনের ধাক্কায় ৫ জনের মৃত্যুর পর বিক্ষুব্ধ জনতা আটকে রেখেছে সৈকত এক্সপ্রেস৪২ মিনিট আগেরেলওয়ে সূত্র জানায়, কোনো কারণে হার্ড ব্রেক বা তাৎক্ষণিক ব্রেক চাপলেও ট্রেন থামতে পারে ৪০২ মিটার বা ৪৪০ গজ দূরে গিয়ে। তবে কক্সবাজার রেললাইনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ট্রেন থেমেছে প্রায় এক কিলোমিটার বা ১ হাজার মিটার দূরে গিয়ে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস প্রায় ৭০ কিলোমিটার গতিতে যাচ্ছিল। অনেক সময় সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক চাপা যায় না। পরিস্থিতি ও গতি বিবেচনা করতে হয়। এতে অনেক সময় হিতে বিপরীত হওয়ার শঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে কী হয়েছে, তা তদন্ত করে জানা যাবে।
এদিকে এই দুর্ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। তদন্ত কমিটির প্রধান হচ্ছেন সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনকক্সবাজারের রামুতে অটোরিকশাকে ট্রেনের ধাক্কা, পাঁচ যাত্রী নিহত২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এক ক ল ম ট র কর মকর ত দ র ঘটন ট র নট তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। বমি ও নিম্ন রক্তচাপের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
আরো পড়ুন:
৬ বছর পর ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্লে-অফে বলিভিয়া
মারাকানায় ব্রাজিলের বড় জয়
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পর তার ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে।
বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তার ত্বকের পরীক্ষা করে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ শনাক্ত হয়েছে।এটি ত্বকের মাঝারি মাত্রার ক্যানসার, যা সবচেয়ে হালকা ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন যে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭০ বছর বয়সী বলসোনারো গত মঙ্গলবার বমি এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণে ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ক্যানসারের বিষয়টি গত রবিবারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, যখন তার বুক ও হাতে থাকা ক্ষতস্থানের টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।
তার অনকোলজিস্ট ক্লাউদিও বিয়ারোলিনি জানিয়েছেন, বলসোনারোর ক্যানসার ‘ইন সিটু’ ধাপে রয়েছে, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কোষগুলো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। অস্ত্রোপচারই এর চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমানে বলসোনারোর শরীরে সেলাই ও ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, যেখানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
বলসোনারো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই গৃহবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের নির্দেশ অনুযায়ী, গৃহবন্দিত্বে থাকলেও চিকিৎসা জরুরি হলে তিনি বাসার বাইরে যেতে পারেন। তবে প্রতিবারই তার আইনজীবীদের আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।
বলসোনারোর সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, যাতে তিনি কারাগারে না গিয়ে বাড়িতেই সাজা ভোগ করতে পারেন। তাদের দাবি, কারাগারে নিলে তার শারীরিক জটিলতা বা দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়বে।
তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমার বাবা আগেও কঠিন লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছেন। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না।”
ঢাকা/ফিরোজ