কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চরে বজ্রপাতে দুই কৃষকের ১১টি মহিষ মারা গেছে।

রবিবার (৩ আগস্ট) মধ্যরাতে ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার পদ্মার চরে ঘটনাটি ঘটে। একজন মালিক জানান, মারা যাওয়া মহিষগুলো তারা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন। 

প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার এলাকার নওয়াজুদ্দিনের ছেলে নবির আলীর ১০টি মহিষ এবং একই এলাকার এলাহি ঢালির একটি মহিষ বজ্রপাতে মারা যায়। এসময় মহিষগুলো নদীর পাড়ের উঁচু স্থানে আশ্রয়ে ছিল বলে জানান স্থানীয়রা। 

আরো পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গার ভৈরব নদীতে ডুবে ২ বন্ধুর ‍মৃত্যু

মেহেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, “আমার ইউনিয়নের দুই কৃষকের মোট ১১টি মহিষ বজ্রপাতে মারা গেছে। নবির আলীর সবগুলো মহিষ মারা গেছে।”

মহিষ মালিক এলাহি ঢালি বলেন, “নবির আলী আমার ফুপাতো ভাই। তার ১০টি মহিষ ও আমার একটি মহিষ মারা গেছে। আমাদের বাথানে প্রায় ৩০০ মহিষ আছে, যেগুলোর মালিক ২২ জন। আমাদের দুইজনের ১১টি মহিষের মৃত্যুতে ক্ষতি হয়েছে। এতগুলো মহিষ মাটিতে পুঁতে রাখা সম্ভব না হওয়ায় আমরা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছি। সরকার যদি একটু সহায়তার ব্যবস্থা করত, আমরা উপকৃত হতাম।”

দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহামুদুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি আমরা জেনেছি। দুই কৃষকের ১১টি মহিষ বজ্রপাতে মারা গেছে।”

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, “মহিষ মারা যাওয়ার তথ্য শুনেছি। সরকারিভাবে কোনো সহায়তা বরাদ্দ এলে তা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হবে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আরেক ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা উত্থানের সম্ভাবনা জিইয়ে রেখে ঘরে ফিরতে পারি নাই: নাহিদ ইসলাম

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনে এক দফা ঘোষণার বর্ষপূর্তির দিনে সেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে দেশে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা সমূলে উৎপাটনের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন নাহিদ ইসলাম। গত বছর ওই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদই শেখ হাসিনার সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা করেছিলেন।

আজ রোববার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশে দাঁড়িয়ে তিনি অভ্যুত্থানের পরে তরুণদের নেতৃত্বাধীন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গড়ে তোলার পেছনে যে আকাঙক্ষা কাজ করেছে, সেটি তুলে ধরেছেন।

নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের এক দফা দাবি ছিল, আমরা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ করে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে চাই। কেবল এক ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা হটিয়ে, আরেক ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা উত্থানের সম্ভাবনা জিইয়ে রেখে আমরা নিশ্চিন্তে ঘরে ফিরতে পারি নাই। বরং রাষ্ট্র ও সমাজে দীর্ঘদিন জেঁকে বসা এই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা সমূলে উটপাটনে আপনাদের তীব্র আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে আমরা আপনাদের ছাত্র–শ্রমিক–জনতা ও রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি গঠন করেছি।’

সমাবেশ থেকে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ শিরোনামে ২৪ দফা ঘোষণা করেন নাহিদ ইসলাম। এতে সংবিধান সংশোধনসহ রাষ্ট্র ও জনগণের উন্নতির লক্ষ্যে বিভিন্ন দাবি, এনসিপির ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের রূপরেখা তুলে ধরা হয়।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পরে বাংলাদেশে এই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরা আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের দ্বিতীয় রিপাবলিকের ২৪ দফা ইশতিহার ঘোষণা করছি।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির এই ২৪ দফার মধ্যে রয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি ও বিচার; নতুন সংবিধান ও সেকেন্ড রিপাবলিক; গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার; ন্যায়ভিত্তিক বিচারব্যবস্থা ও আইন সংস্কার; সেবামুখী প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন; ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকার; টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষানীতি; সার্বজনীন স্বাস্থ্য; ধর্ম, সম্প্রদায় ও জাতিসত্ত্বার মর্যাদা; কল্যাণমুখী অর্থনীতি; জনবান্ধব পুলিশ; নারীর নিরাপত্তা, অধিকার ও ক্ষমতায়ন; গবেষণা, উদ্ভাবন ও তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব; তারুণ্য ও কর্মসংস্থান; বহুমুখী বাণিজ্য ও শিল্পায়ন নীতি; টেকসই কৃষি ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব; স্বাধীন গণমাধ্যম ও শক্তিশালী নাগরিক সমাজ; শ্রমিক-কৃষকের অধিকার; জাতীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনা, নগরায়ন, পরিবহন ও আবাসন পরিকল্পনা; জলবায়ু সহনশীলতা ও নদী-সমুদ্র রক্ষা; প্রবাসী বাংলাদেশির মর্যাদা ও অধিকার; বাংলাদেশপন্থী পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ