বাস চালক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা।

রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুর থেকে হবিগঞ্জ-সিলেট, মাধবপুর-সিলেট ও হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেট রুটে এই অঘোষিত ধর্মঘট শুরু হয়। ফলে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

ধর্মঘটের কারণে দুপুর থেকেই হবিগঞ্জ টার্মিনালে গিয়ে যাত্রীরা বাস না পেয়ে ফিরে গেছেন। অনেকে বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে রওনা হন। 

আরো পড়ুন:

ছয় ঘণ্টা পর বাঘাইছড়িতে যান চলাচল স্বাভাবিক

ছাত্রদল-এনসিপির সমাবেশ রবিবার: যান চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা

সরেজমিনে বিকেল ৫টার দিকে হবিগঞ্জ বাস টার্মিনালে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে এলোমেলোভাবে বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। যাত্রীরা টার্মিনালে এসে বাস চলাচল বন্ধের খবর পেয়ে হতাশা নিয়ে ফিরে যান। 

লাখাই থেকে শিশু সন্তানসহ হবিগঞ্জে আসা নুরুল মিয়া ও খাদিজা আক্তার দম্পতি বাস না পেয়ে ফিরে যান। ক্ষুব্ধ নুরুল মিয়া বলেন, ‍“আগে জানলে আসতাম না। এখন বাচ্চা নিয়ে বিপদে পড়লাম।”

হবিগঞ্জ মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবু মঈন চৌধুরী সোহেল বলেন, “গত পরশু কণকপুরে আমাদের একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে অটোরিকশার যাত্রী মারা যান। পুলিশ দুর্ঘটনায় জড়িত চালককে না পেয়ে আরেকটি বাসের চালক মান্না দেবকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি জানানো সত্ত্বেও পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে নিরপরাধ চালককে ধরেছে।” 

তিনি আরো বলেন, “এ ঘটনার প্রতিবাদে সিলেট পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও হবিগঞ্জ মোটর মালিক গ্রুপ অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

তিনি আরো বলেন, “রবিবার সকাল ১১টা থেকে সিলেট টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছাড়েনি। নিরপরাধ চালক মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।” 

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ