নাটোর চিনিকলে ডাকাতি: ৩ জনকে অব্যাহতি, তদন্ত কমিটি
Published: 3rd, August 2025 GMT
নাটোরের চিনিকল থেকে ৯০ লাখ টাকার মালামাল লুট হওয়ার পর নিরাপত্তা ইনচার্জসহ তিনজনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পশাপাশি ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।
চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখলাছুর রহমান এবং নাটোর সদর থানার ওসি মাহাবুব রহমান এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন: নাটোর চিনিকলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি
আরো পড়ুন:
জাবিতে নির্মাণ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদ ধসের ঘটনায় ইউজিসির তদন্ত কমিটি
চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখলাছুর রহমান জানান, শনিবার (২ আগস্ট) রাত দেড়টার দিকে ডাকাতরা মিলের পেছনের ভাঙা দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা মিল হাউজ, বিদ্যুৎ বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে রক্ষিত নতুন ও পুরোনো ধাতব মালামাল ট্রাকে তুলে পালিয়ে যায়। এর আগে মিলের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের হাত-পা বেঁধে জিম্মি করে ডাকাতরা।
রবিবার (৩ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে শিফট বদলের সময় নতুন কর্মীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে কর্তৃপক্ষকে জানায়। খবর পেয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন, সেনাবাহিনীর সদস্য এবং চিনিকলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আখলাছুর রহমান জানান, ঘটনাটি তদন্তে মিলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) ফেরদৌস উল আলমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
নাটোর সদর থানার ওসি মাহাবুব রহমান বলেন, এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিলের নিরাপত্তা ইনচার্জ আলাফাত কামালসহ কয়েকজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সহকারী হাবিলদার বদর উদ্দিন বেগ, নিরাপত্তাকর্মী সাব্বির ও আরেকজনকে তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ ন কল রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
খেলাফত মজলিসের দেশব্যাপী "বিজয় র্যালি’ ৫ আগস্ট
৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী "বিজয় র্যালি’ কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
রবিবার (৩ আগস্ট) দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ ‘বিজয় র্যালি’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে ছিল এক অবিস্মরণীয় দিন। বছরের পর বছর ধরে চলা স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে জনতার ক্ষোভ সে দিন রূপ নেয় ভয়াবহ গণ-অভ্যুত্থানে। লাখো ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে আসে এবং গণভবন অভিমুখে শান্তিপূর্ণ মিছিল করে। এই মিছিল ছিল ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত জবাব। একপর্যায়ে শেখ হাসিনা পদত্যাগে বাধ্য হন এবং পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন।
তিনি বলেন, এই অভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনীতিকে নতুন গতি দিয়েছে এবং গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে এক যুগান্তকারী মাইলফলকে পরিণত হয়েছে। এই বিপ্লবের চেতনাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহ ইতিমধ্যে জুলাই মাসজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। এই ধারাবাহিকতায় আগামী ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) দেশব্যাপী ‘বিজয় র্যালি’ পালিত হবে।
বিবৃতিতে তিনি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা শাখার প্রতি সাংগঠনিক প্রস্তুতির মাধ্যমে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে এই র্যালি পালন করার আহ্বান জানান।
তিনি দেশের সর্বস্তরের মানুষ, বিশেষ করে আলেম-উলামা, ছাত্র, যুবক ও সমাজ সচেতন নাগরিকদের বিজয় র্যালিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণেরও আহ্বান জানান।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি