খুলনায় আল আমিন নামে এক যুবককে গলাকেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। রবিবার (৩ জুলাই) রাত ৯টার দিকে নগরীর দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়া খানাবাড়ি রাস্তা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ।

আল আমিন দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা দিঘীর পূর্বপাড় এলাকার সাহেদ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় ঘের ব্যবসায়ী।

এদিকে, নগরীর কাস্টমঘাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে সোহেল নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে।

আরো পড়ুন:

কুমিল্লায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

ছোট ভাইয়ের বউকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ

দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম বলেন, “কালো রঙের একটি পালসার মোটরসাইকেলসহ গলাকাটা এক যুবকের মরদেহ মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়া খানাবাড়ির সামনে পড়ে আছে, এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কে বা কারা ওই যুবককে হত্যা করেছে তা কেউ বলতে পারছে না।”

তিনি আরো বলেন, “ধারলো অস্ত্র দিয়ে ওই যুবকের গলাকাটা হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আশপাশের সিসি ফুটেজ নেওয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর ওই এলাকার কেউ মুখ খুলছেন না।” 

অপরদিকে, খুলনা নগরীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে সোহেল (২৮) নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। রবিবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে ২ নম্বর  কাস্টমঘাট এলাকার একটি সেলুনের সামনে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, “সোহেল ২ নম্বর কাস্টমঘাট এলাকার নিজ বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি সেলুনের সামনে অবস্থান করছিল। এ সময়ে ৪-৫ টি মোটরসাইকেলে আসা মুখ বাঁধা ও হেলমেট পরিহিত কয়েকজন সন্ত্রাসী সোহেলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

একটি গুলি তার পেটে বিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সোহেলের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় মাদক আইনে চারটি মামলা রয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো.

আবু তারেক (দক্ষিণ) বলেন, “আহত সোহেল স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য। মাদক এবং টাকার লেনদেন নিয়ে ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আহত গল ক ট এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

ডি ব্রুইনা-সিটির পুনর্মিলনীতে হলান্ডের দ্রুততম ‘ফিফটি’

ম্যানচেস্টার সিটি ২-০ নাপোলি

ইতিহাদ ছেড়ে গিয়েছিলেন গত জুনে। তারপর এবারই তাঁর প্রথম ফেরা বড় সাধের এই স্টেডিয়ামে। ম্যানচেস্টার সিটির দর্শকেরা তাঁকে নায়কের মর্যাদায় বরণও করে নিলেও কোথায় যেন একটা অতৃপ্তি থেকে গেল। কেভিন ডি ব্রুইনা এখন হতে পারেন প্রতিপক্ষ, তবু ম্যাচের মাত্র ২৬ মিনিটে তাঁর বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় সিটির দু-একজন সমর্থকদের মুখটা শুকনো দেখা গেল। ক্লাব কিংবদন্তিকে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁরা সম্মান দেখিয়েছেন, তবে মাঠে আরও কিছুক্ষণ দেখতে চেয়েছিলেন নিশ্চয়ই!

কৌশলগত কারণে মাঠ ছাড়তে হয় ডি ব্রুইনাকে। নাপোলি কোচ আন্তোনিও কন্তে অবশ্য তাতে হার এড়াতে পারেননি। বিরতির পর আর্লিং হলান্ড ও জেরেমি ডকুর গোল হজম করতে হয়। সিটির ২-০ গোলের এ জয়ে দারুণ এক রেকর্ডও গড়েন হলান্ড।

৫৬ মিনিটে তাঁর গোলটির উৎস সিটি মিডফিল্ডার ফিল ফোডেন। লব করে দারুণভাবে বলটা তুলে সামনে বাড়িয়ে দেন, হেডে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের ৫০তম গোল তুলে নেন হলান্ড। সেটা আবার এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্রুততম। ৪৯ ম্যাচে ‘ফিফটি’ পাওয়া হলান্ড পেছনে ফেললেন রুদ ফন নিষ্টলরয়কে (৬২ ম্যাচ)।

ডকুর গোলটি দেখার মতো। ৬৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে গোল করার পথে নাপোলির তিন খেলোয়াড় মিলেও তাঁকে থামাতে পারেননি। সিটির এই দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া আসলে একটি সুবিধার ফল। ২১ মিনিটে বক্সে হলান্ডকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন নাপোলি অধিনায়ক ও রাইট ব্যাক জিওভান্নি ডি লরেঞ্জো। এরপর ১০ জনে পরিণত হওয়া ইতালিয়ান ক্লাবটির ওপর চেপে বসে সিটির আক্রমণভাগ।

গোল করলেন জেরেমি ডকু

সম্পর্কিত নিবন্ধ