খুলনায় ঘের ব্যবসায়ীকে গলাকেটে হত্যা, যুবককে গুলি
Published: 4th, August 2025 GMT
খুলনায় আল আমিন নামে এক যুবককে গলাকেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। রবিবার (৩ জুলাই) রাত ৯টার দিকে নগরীর দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়া খানাবাড়ি রাস্তা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ।
আল আমিন দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা দিঘীর পূর্বপাড় এলাকার সাহেদ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় ঘের ব্যবসায়ী।
এদিকে, নগরীর কাস্টমঘাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে সোহেল নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে।
আরো পড়ুন:
কুমিল্লায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
ছোট ভাইয়ের বউকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ
দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম বলেন, “কালো রঙের একটি পালসার মোটরসাইকেলসহ গলাকাটা এক যুবকের মরদেহ মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়া খানাবাড়ির সামনে পড়ে আছে, এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কে বা কারা ওই যুবককে হত্যা করেছে তা কেউ বলতে পারছে না।”
তিনি আরো বলেন, “ধারলো অস্ত্র দিয়ে ওই যুবকের গলাকাটা হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আশপাশের সিসি ফুটেজ নেওয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর ওই এলাকার কেউ মুখ খুলছেন না।”
অপরদিকে, খুলনা নগরীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে সোহেল (২৮) নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। রবিবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে ২ নম্বর কাস্টমঘাট এলাকার একটি সেলুনের সামনে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, “সোহেল ২ নম্বর কাস্টমঘাট এলাকার নিজ বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি সেলুনের সামনে অবস্থান করছিল। এ সময়ে ৪-৫ টি মোটরসাইকেলে আসা মুখ বাঁধা ও হেলমেট পরিহিত কয়েকজন সন্ত্রাসী সোহেলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
একটি গুলি তার পেটে বিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সোহেলের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় মাদক আইনে চারটি মামলা রয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো.
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আহত গল ক ট এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’