সুকুক বন্ড বরাদ্দের হার পুনঃনির্ধারণ
Published: 4th, August 2025 GMT
সুকুক বন্ড বরাদ্দের হার পুনঃনির্ধারণ করে নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক, ফাইন্যান্স কোম্পানি, বিমা কোম্পানি এবং কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোর ইসলামিক ব্রাঞ্চ ও উইন্ডোজে সুকুক বন্ডে বিনিয়োগ বরাদ্দের হার বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে জারি করা এ-সংক্রান্ত সব নির্দেশনা বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার (৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে সংশ্লিষ্টদের এই তথ্য অবহিত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে ব্যাংক
এনআরবিসি ব্যাংকের টাউন হল মিটিং অনুষ্ঠিত
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক, ফাইন্যান্স কোম্পানি, বিমা কোম্পানি এবং কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোর ইসলামিক ব্রাঞ্চ ও উইন্ডোগুলো ইস্যু করতে যাওয়া সুকুকের ৮০ শতাংশ, কনভেনশনাল ব্যাংক, ফাইন্যান্স কোম্পানি ও বীমা কোম্পানি ইস্যুতব্য সুকুকের ৫ শতাংশ এবং ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারী, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স, ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, গ্র্যাচুইটি ফান্ড, মিউচুয়াল ফান্ড প্রভৃতি ইস্যু করতে যাওয়া সুকুকের ১৫ শতাংশ হারে বরাদ্দ পাবে।
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সুকুক বরাদ্দের ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে সেটি হলো, তিনটি শ্রেণিতেই নির্ধারিত অনুপাতের চেয়ে বেশি বিড দাখিল হলে প্রত্যেক শ্রেণির বিড দাখিলকারীদের মধ্যে তাদের দাখিল করা বিডের সমানুপাতিক হারে সুকুক বরাদ্দ দেওয়া; কোনো শ্রেণিতে নির্ধারিত অনুপাতের চেয়ে কম বিড দাখিল হলে তাদের মধ্যে বিতরণের পর অবশিষ্ট সুকুক বেশি বিড দাখিলকারীদের মধ্যে (যদি থাকে) তাদের দাখিলকৃত বিডের সমানুপাতিক হারে বরাদ্দ দেওয়া। নতুন নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
ঢাকা/নাজমুল/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জিম্মিদশা থেকে নারীকে উদ্ধার, পুলিশ বলছে মাদক নিয়ে বিরোধ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব ডুমখালী রিজার্ভপাড়া এলাকার একটি বসতঘরের জিম্মিদশা থেকে এক নারীকে (৪৬) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অস্ত্রসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে পুলিশ এ অভিযান চালায়। ওই নারীর বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম রমজান আলী (৩৬)। তিনি পূর্ব ডুমখালী এলাকার নজির আহমদের ছেলে। তাঁর কাছ থেকে দেশে তৈরি একটি একনলা বন্দুক (এলজি), একটি গুলি ও একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল রাতে চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরকানুল ইসলাম বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন।
চকরিয়া থানার পুলিশ ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি থেকে চকরিয়ার ডুলাহাজারায় এলে ১৫ সেপ্টেম্বর ওই নারীকে দুর্বৃত্তরা রিজার্ভপাড়া এলাকার একটি ঘরে আটকে রাখে। এরপর ওই নারীকে মুক্ত করতে থানায় অভিযোগ দেন তাঁর মেয়ে। অভিযোগে বলা হয়, ওই নারীর সামনে কিছু ইয়াবা ও অস্ত্র রেখে ভিডিও করা হয়। এরপর সেসব ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ টাকা আদায় করা হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে।
উদ্ধারের পর ওই নারী সাংবাদিকদের বলেন, একটি চক্র কৌশলে তাঁকে চকরিয়ায় নিয়ে এসে আটকে রাখে। মাদক ও অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে চাঁদা দাবি করে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, উদ্ধার হওয়া নারীর বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিলসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। মূলত ইয়াবা কেনাবেচার টাকার ভাগ–বাঁটোয়ারার দ্বন্দ্বে তাঁকে পূর্ব ডুমখালী রিজার্ভপাড়া এলাকায় আটকে রাখা হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, এক নারীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী চক্রের একজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অভিযান টের পেয়ে চক্রের অন্য তিন সদস্য পালিয়ে গেছেন।
তৌহিদুল আনোয়ার আরও বলেন, গ্রেপ্তার রমজান আলীকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে তিনি জবানবন্দি দেন। ভুক্তভোগী নারীকে আটকে রাখার কথাও স্বীকার করেন তিনি।