নেত্রকোণায় বিকাশকর্মী হত্যা: যুবক গ্রেপ্তার
Published: 25th, August 2025 GMT
নেত্রকোণায় বিকাশকর্মী রিজন তালুকদার (২২) হত্যায় জড়িত সন্দেহে মিজানুর রহমান মানিক নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ জানান, মানিককে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ময়মনসিংহে হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন
সাংবাদিক তুহিন হত্যা: ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল পুলিশ
গ্রেপ্তার মানিক সদর উপজেলার দুগিয়া চরপাড়া গ্রামের মৃত সোলায়মানের ছেলে। আর হত্যার শিকার রিজন জেলা শহরের পশ্চিম নাগড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি জেলা সদরের বিকাশ অফিসে কর্মরত ছিলেন।
গত ১০ আগস্ট সকালে বিকাশ অফিস থেকে সাড়ে ১২ লাখ টাকা নিয়ে বের হওয়ার পর থেকে রিজন নিখোঁজ ছিলেন। ১২ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের ঘাগড়া গ্রামের পাশে মগড়া নদী থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। পর দিন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন তার বাবা রফিকুল ইসলাম।
ঢাকা/ইবাদ/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।