বেশ কিছুদিন আগে আমেরিকায় ঘুরতে গিয়েছিলাম শাকিব খান, অপু বিশ্বাস আর এই জুটির সন্তান আব্রাম খান জয়। সে সময়ের ভালো ভালো অনেক স্মৃতি জমে আছে অপু বিশ্বাসের মনে। সেই স্মৃতি থেকে তিনি একটি পডকাস্টে বেশ কিছু কথা বলেছেন।

অপু বিশ্বাস বলেন, ‘‘মজার স্মৃতি অনেক আছে। একটা মজার স্মৃতি হচ্ছে, সেন্ট্রাল পার্কে ঘোড়া দৌড় চলছিলো। আমি আসতে একটু দেরি করেছিলাম। জয় আইসক্রিম খেতে চেয়েছিলো। আমি আইসক্রিম আনতে গিয়েছিলাম। এসে দেখি জয় আর তার বাবা ঘোড়ায় উঠে গেছে। আমি জোরে জোরে বলছিলাম, এই আমাকে নেবে না। একটা ভিডিও দেখবেন, আমি দৌড়ে আসছি আর চুল ঠিক করছি। ওই ভিডিওটা জয়ের বাবা করে দিয়েছিলো। ঘোড়ার যারা রাইড করে, তারা আমাকে পরে ঘোড়ায় উঠিয়ে দেয়। আমি শাকিবকে বললাম, তুমি এইটা কেন করলে, ও বললো যে, ইচ্ছে করে। তুমি দৌড় দিবা আমার ভালো লাগবে, তাই। তখন একটু মোটাও ছিলাম। শাকিব বললো, দৌড়াও, মোটাটা একটু কমবে। ’’

আরো পড়ুন:

রইস উদ্দিনের কাছ থেকে ‘বিশেষ উপহার’ পেলেন অপু বিশ্বাস

সেই রইস উদ্দিনের বাড়িতে অপু বিশ্বাস

অপু আরও বলেন, ‘‘শাকিব মাঝে মাঝে মটু মটু বলে পঁচাতো, এখন  আর বলার সুযোগ নেই। কারণ আমি এখন শুকিয়ে গেছি। ’’

ওই পডকাস্টে নেটিজেনদের করা বুলিংয়ের বিষয়েও মুখ খোলেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়াকে আমি যতটা সাপোর্ট করি, আবার মাঝে মাঝে ততটা কষ্ট লাগে। তারা আমাদেরকে চেনেন না কিন্তু বুলিংটা কেন এতো অনর্থক করেন? ’’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি আমেরিকায় একসঙ্গে সময় পাড় করেছেন শাকিব খান, বুবলী আর এই জুটির সন্তান শেহজাদ খান বীর। নেটিজেদের একাংশ বলছে, আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য ওইসব ছবি তুলেছেন তারা। এ বিষয়ে অপু বিশ্বাসের মত হচ্ছে, ‘‘হতে পারে। আমি যেহেতু আমেরিকার নাগরিক হতে যাইনি। সো, এই বিষয়ে কোনো রুলস আমি পড়িওনি, জানিও না। ’’

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপ ব শ ব স আম র ক

এছাড়াও পড়ুন:

মহাকাশে পাঠানো হলো আইসক্রিম

স্পেসএক্সের ফ্যালকন–৯ রকেটে করে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে রওনা হয়েছে নর্থরপ গ্রুম্যান কোম্পানির কার্গো মহাকাশযান ‘সিগনাস এক্সএল’। ১৪ সেপ্টেম্বর ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই মিশনে মহাকাশযানে ৫ টনের বেশি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যন্ত্রাংশ, নাইট্রোজেন, অক্সিজেনসহ বিভিন্ন গবেষণাসামগ্রী। মহাকাশচারীদের জন্য বিশেষ খাবার হিসেবে ক্ল্যামস, ওয়েস্টার্স, স্মোকড স্যামন, রোস্টেড টার্কি ও আইসক্রিম পাঠানো হয়েছে।

এই মিশন সিগনাস এক্সএলের প্রথম যাত্রা। পুরোনো সংস্করণের সিগনাসের চেয়ে প্রায় ১.৬ মিটার লম্বা ও ২ হাজার ৬০০ পাউন্ড বেশি মালামাল বহন করতে সক্ষম। ১৭ সেপ্টেম্বর সিগনাস এক্সএল মহাকাশ স্টেশনের রোবটিক বাহুর কাছে পৌঁছাবে। কার্গো মহাকাশযানটিতে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, খাদ্য সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ রয়েছে। এর মধ্যে স্টেশনের ইউরিন প্রসেসর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমের প্রতিস্থাপন যন্ত্রাংশও অন্তর্ভুক্ত।

সিগনাস এক্সএল আগের রকেটের চেয়ে প্রায় ১.৬ মিটার লম্বা। নাসা ও নর্থরপ গ্রুম্যান এই অভিযানকে আইএসএসের সরবরাহ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। মহাকাশচারীদের দীর্ঘমেয়াদি মিশনে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ গবেষণার উপকরণ পাঠানোর ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে কাজের অংশ হিসেবে এই মিশন পরিচালনা করা হচ্ছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মহাকাশে পাঠানো হলো আইসক্রিম