শাকিব মটু বলে পঁচাতো এখন আর বলার সুযোগ নেই: অপু
Published: 26th, August 2025 GMT
বেশ কিছুদিন আগে আমেরিকায় ঘুরতে গিয়েছিলাম শাকিব খান, অপু বিশ্বাস আর এই জুটির সন্তান আব্রাম খান জয়। সে সময়ের ভালো ভালো অনেক স্মৃতি জমে আছে অপু বিশ্বাসের মনে। সেই স্মৃতি থেকে তিনি একটি পডকাস্টে বেশ কিছু কথা বলেছেন।
অপু বিশ্বাস বলেন, ‘‘মজার স্মৃতি অনেক আছে। একটা মজার স্মৃতি হচ্ছে, সেন্ট্রাল পার্কে ঘোড়া দৌড় চলছিলো। আমি আসতে একটু দেরি করেছিলাম। জয় আইসক্রিম খেতে চেয়েছিলো। আমি আইসক্রিম আনতে গিয়েছিলাম। এসে দেখি জয় আর তার বাবা ঘোড়ায় উঠে গেছে। আমি জোরে জোরে বলছিলাম, এই আমাকে নেবে না। একটা ভিডিও দেখবেন, আমি দৌড়ে আসছি আর চুল ঠিক করছি। ওই ভিডিওটা জয়ের বাবা করে দিয়েছিলো। ঘোড়ার যারা রাইড করে, তারা আমাকে পরে ঘোড়ায় উঠিয়ে দেয়। আমি শাকিবকে বললাম, তুমি এইটা কেন করলে, ও বললো যে, ইচ্ছে করে। তুমি দৌড় দিবা আমার ভালো লাগবে, তাই। তখন একটু মোটাও ছিলাম। শাকিব বললো, দৌড়াও, মোটাটা একটু কমবে। ’’
আরো পড়ুন:
রইস উদ্দিনের কাছ থেকে ‘বিশেষ উপহার’ পেলেন অপু বিশ্বাস
সেই রইস উদ্দিনের বাড়িতে অপু বিশ্বাস
অপু আরও বলেন, ‘‘শাকিব মাঝে মাঝে মটু মটু বলে পঁচাতো, এখন আর বলার সুযোগ নেই। কারণ আমি এখন শুকিয়ে গেছি। ’’
ওই পডকাস্টে নেটিজেনদের করা বুলিংয়ের বিষয়েও মুখ খোলেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়াকে আমি যতটা সাপোর্ট করি, আবার মাঝে মাঝে ততটা কষ্ট লাগে। তারা আমাদেরকে চেনেন না কিন্তু বুলিংটা কেন এতো অনর্থক করেন? ’’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আমেরিকায় একসঙ্গে সময় পাড় করেছেন শাকিব খান, বুবলী আর এই জুটির সন্তান শেহজাদ খান বীর। নেটিজেদের একাংশ বলছে, আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য ওইসব ছবি তুলেছেন তারা। এ বিষয়ে অপু বিশ্বাসের মত হচ্ছে, ‘‘হতে পারে। আমি যেহেতু আমেরিকার নাগরিক হতে যাইনি। সো, এই বিষয়ে কোনো রুলস আমি পড়িওনি, জানিও না। ’’
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপ ব শ ব স আম র ক
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’