জবিতে শিক্ষার্থীদের টানা পঞ্চম দিনের অবস্থান কর্মসূচি
Published: 26th, August 2025 GMT
সম্পূরক বৃত্তি, জকসু নীতিমালা প্রণয়ন এবং সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দুই দফা দাবিতে টানা পঞ্চম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) প্রশাসনিক ভবনের সামনে চলমান এ কর্মসূচিতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদেরও উপস্থিতি দেখা যায়।
আরো পড়ুন:
গকসু নির্বাচন: প্রথম দিনে ১৩ মনোনয়ন ফরম বিতরণ
জবি বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বরখাস্ত, ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
এ সময় তারা ‘আটটা টু আটটা, বাজায় কার ঘণ্টা’, ‘ভিসি স্যার শুনছেন নাকি, আমরা এখানে বসে গেছি’, ‘হচ্ছে হবে বাদ দাও, কবে হবে বলে দাও’, ‘জকসু আমার অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’, ‘বৃত্তি আমার অধিকার, মুখে দেওয়ার সাধ্য কার’, ‘আবাসন বৃত্তি দিতে হবে, দিয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
অবস্থান কর্মসূচি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জবি শাখার আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, “সিন্ডিকেট শুধু জকসু সংবিধি প্রণয়নের একটি ধাপ। সিন্ডিকেটে কী সিদ্ধান্ত আসছে তা জেনে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব। তবে সম্পূরক বৃত্তির বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না আসা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন থামবে না।”
শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি চলছে। আমরা জেনেছি প্রশাসন সিন্ডিকেট বৈঠকের ডাক দিয়েছে। সেখানকার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করেই আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ হবে। যদি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না আসে, তাহলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতিআগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন টিআইবির
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম দফায় বাতিল করে দেওয়ার পরও পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের মন্ত্রীদের জন্য বাড়তি দামে বিলাসবহুল গাড়ি কেনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিআগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
একইসঙ্গে এ ধরনের কেনাকাটায় অতিআগ্রহের কারণ অনুসন্ধান জরুরি মনে করে এ ধরণের জনস্বার্থবিরোধী প্রস্তাব বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
আরো পড়ুন:
বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে রেকর্ড
ইতালির প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৫ দেশে সফর বাতিল
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “একজন মন্ত্রী কোন ধরনের পরিবহন সুবিধা উপভোগ করবেন, তা দি মিনিস্টারস, মিনিস্টারস অব স্টেট অ্যান্ড ডিপুটি মিনিস্টারস (রিমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ এর ৬ (এ)-তে বলা আছে। আইন অনুযায়ী একজন মন্ত্রী সরকারিভাবে সার্বক্ষণিক একটি কার ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে থাকেন। বিগত সময়ে মন্ত্রীরা এবং বর্তমানে উপদেষ্টারা কার ব্যবহার করছেন। সেখানে হঠাৎ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আইন বর্হিভূতভাবে ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল টয়োটা ব্রান্ডের ল্যান্ড ক্রুজার কেনার জন্য এতটা উদগ্রীব কেন? তা বোধগম্য নয়। সরকারকে এ জাতীয় আগ্রহের পেছনের কারণ অনুসন্ধান করার আহ্বান জানাই।”
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক মনে করেন, “অর্ন্তবর্তী সরকার যদি গাড়ি কেনার এ সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেয়, তাহলে প্রশ্ন উঠবে কোন যুক্তিতে সরকার এ বিষয়টিকে এমন প্রাধান্য দিল। পরবর্তী সরকারের মন্ত্রী যারা হবেন, তাদের কাছে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য হবে- এ নিশ্চয়তা সরকার কোথায় পেল! সরকারের ব্যয় সংকোচনের নিজস্ব সিদ্ধান্তের পরিপন্থি এ ক্রয়ের মাধ্যমে এমন স্ববিরোধী পথে সরকার কেন যাচ্ছে? এটি কি জবাবদিহিমূলক সরকার ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্র সংস্কারে অঙ্গীকারবদ্ধ সরকারের স্ববিরোধী আচরণ বলে বিবেচিত হবে না? এর দায়ভার সরকারের পক্ষ থেকে কে বা কারা নিবেন?”
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের এমপিদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা বিলাসবহুল অব্যবহৃত গাড়িগুলো কম দামে পাওয়া যাবে এবং বিদ্যমান গাড়িগুলো দিয়ে নির্বাচনী এলাকা সফর, জরুরি কাজ করা কষ্টসাধ্য হবে।
যে সব যুক্তি দেখানো হয়েছে, তা সত্যিই বিস্ময়কর উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, “এক শ্রেণির অতিউৎসাহী স্বার্থান্বেষী তোষণপ্রবণ আমলাদের প্রস্তাব অনুযায়ী গাড়ি কেনার এ সিদ্ধান্ত অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য। যা সুবিধাবাদী আমলাদের প্রভাববলয় প্রতিষ্ঠার যে চর্চাকে পতিত সরকারের আমলে স্বাভাবিকতায় পরিণত করা হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার বিব্রতকর ও আত্মঘাতী উদাহরণ। এ ধরনের অবিবেচনাবোধপ্রসূত সিদ্ধান্ত ও তোষামোদি আচরণ পরিহার করে অনতিবিলম্বে ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের গাড়ি কেনার প্রস্তাব বাতিল করে বিষয়টি পরবর্তী সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য স্থগিত রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী