আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে কালচারাল ফ্যাসিবাদের কবর রচনার ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। 

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বটতলায় ডাকসুর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। 

আরো পড়ুন:

ডাকসু: মধ্যরাতে আবাসিক হলে ভিপি প্রার্থী আবিদের নির্বাচনী প্রচার

ডাকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের ১০ দফা ইশতেহার ঘোষণা

এ সময় প্যানেলের জিএস প্রার্থী এসএম ফরহাদ, এজিএস প্রার্থী মহিউদ্দিন খানসহ অন্যান্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাদিক কায়েম বলেন, “জুলাই বিপ্লবের পরে আমরা রাজনৈতিক আজাদী পেলেও সাংস্কৃতিক আজাদী পাইনি। পতিত স্বৈরাচারের দোসররা এখনো নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা ইসলামিক প্রতীকগুলোকে এখনো অপমান করছে। আমরা বিজয়ী হলে ইসলামিক প্রতীকগুলোকে সমাজে স্বাভাবিক রূপদান করব।”

তিনি বলেন, “আমরা বিজয়ী হলে কালচারাল ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করবো। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল সেন্টারের হাব হয়ে উঠবে। এটি হবে একটি মাল্টিকালচারাল ইন্সটিটিউশন। এখানে হিন্দু-বৌদ্ধ, চাকমা-মারমাসহ সবাই মুক্তভাবে তাদের ধর্মচর্চা করতে পারবে।”

তিনি আরো বলেন, “আজ আমরা কলাভবনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের যাবতীয় সমস্যা নিয়ে কথা বলেছি। এখানে ক্লাসরুম সংকট, পুরাতন লিফটসহ বেশকিছু সমস্যা চিহ্নিত করেছি। এছাড়াও কমনরুমে নারী স্টাফ না থাকা একটি বড় সমস্যা। নির্বাচিত হলে এসব সমস্যা সমাধানে আমরা সর্বাত্মক কাজ করব।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমরা প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করছি। তারা বারবার আমাদের হতাশ করছেন। আমরা তাদের কাছ থেকে স্বচ্ছতা আশা করি।”

এক প্রশ্নের জবাবে জিএস প্রার্থী এসএম ফরহাদ বলেন, “আমরা যেসব পোস্টার লাগিয়েছি, সেগুলো নিয়ম মেনেই লাগিয়েছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হঠাৎ করে নিয়ম বদলানোয় ঝামেলা বেঁধেছে।”

নির্বাচনে সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তিনি বলেন, “অনেক ছাত্রসংগঠনই এ নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করা দরকার ছিল।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

টাঙ্গাইল সদরের মগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আনিছুর রহমানকে না পেয়ে তার স্ত্রী লিলি বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। 

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বাড়ির পাশে ‘লিওন বেকারি’ নামে নিজ প্রতিষ্ঠানেই এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই এসএম আনিছুর রহমান বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কুইজবাড়ী বাজারের কাছে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান উত্তমের বাড়ির পাশেই নিজেদের ‘লিওন বেকারি’ নামে বিস্কুটের ফ্যাক্টরি রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় নামাজ শেষ করে উত্তম ফ্যাক্টরিতে যেতেন। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তমের ফ্যাক্টরিতে যেতে দেরি হওয়ায় তার স্ত্রী লিলি আক্তার সেখানে যান। সেসময় কয়েকজন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিলিকে কোপাতে থাকে। সেসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক লিলিকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রেখেছে পুলিশ।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, “কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে জানা যায়নি। আমরা এ ঘটনায় শোকাহত। জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।”

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহম্মেদ বলেন, “মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ময়না তদন্ত শেষে দুপুরের মধ্যে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

ঢাকা/কাওছার/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা