রাজনগরে স্বেচ্ছাসেবক দলের একাংশের বাধায় কর্মিসভা পণ্ড
Published: 29th, August 2025 GMT
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় আয়োজন স্থলে তালা লাগিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মিসভা পণ্ড করে দিয়েছেন দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা। উত্তেজনা থামাতে সকাল থেকে অনুষ্ঠানস্থল এম সাইফুর রহমান অডিটোরিয়ামের আশপাশে পুলিশ অবস্থান নেয়।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট ) সকাল ১১টায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মিসভা হওয়ার কথা ছিল। উপস্থিত থাকার কথা ছিল দলটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা.
আরো পড়ুন:
হাসিনার কাছে কখনো মাথা নত করিনি: এ্যানি
নির্বাচনি রোডম্যাপে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে: সালাহউদ্দিন
দলের দুর্দিনের নেতাকর্মী ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ককে দাওয়াত না দেওয়ায় তারা কর্মিসভায় বাধা দিয়েছেন বলে জানান দলটির রাজনগর উপজেলা আহ্বায়ক সুলতান মাহমুদ সুনু।
রাজনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কাওসার আহমদ বলেন, ‘‘প্রস্তুতি সভা করে সবার মতামত নিয়ে কর্মিসভার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। জেলা কমিটি উপজেলা আহ্বায়ককে অব্যাহতি দিলেও তাকে প্রস্তুতি সভায় আসতে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।’’
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বলেন, ‘‘একপক্ষ সভা করতে চাইলে অন্যপক্ষ বাধা দেয়। এতে উত্তেজনা দেখা দেয়। আমরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনি।’’
ঢাকা/আজিজ/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র জনগর উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
হাওরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সাদা শাপলা
হাওরের বুক চিরে চলে গেছে পিচঢালা আঁকাবাঁকা রাস্তা। দুই ধারে থৈ থৈ স্বচ্ছ পানি। তাতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সবুজ গোল পাতার ওপর নয়নাভিরাম সাদা শাপলা।
প্রকৃতিতে শরৎ এসেছে। তবে, হাওরে এখনো বর্ষার আমেজ। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে এখনো পানিতে টইটুম্বুর হাওর। পথে যেতে যেতে দেখা মেলে শিল্পীর আঁকা ছবির মতো দৃশ্য।
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার রাজনগর-বালাগঞ্জ সড়কের পাশে কাউয়াদিঘি হাওরে পানির কমতি নেই। পানির ওপরে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে সাদা শাপলা। স্বচ্ছ জলে ভাসছে হংস-মিথুন। এ যেন অপরূপ ছবির ক্যানভাস, রূপসী বাংলার শাশ্বত চিত্র।
এমন দৃশ্য দেখে হয়ত কেউ মনের অজান্তেই গুনগুনিয়ে গাইছেন, ‘যখন তোর ঐ গায়ের ধারে/ঘুঘু ডাকা নিঝুম কোনো দুপুরে/ হংস-মিথুন ভেসে বেড়ায়/শাপলা ফোটা টলটলে ঐ পুকুরে’।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কাউয়াদিঘি হাওরের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। বিশেষ করে, সাদা শাপলা সবার মন কাড়ে। দূর-দূরান্ত মানুষ ছুটে আসেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
সম্প্রতি হাওরপাড়ে দেখা হয় বেড়াতে আসা ফাহিম ও সুমন নামের দুই কিশোরের সঙ্গে। তারা বলে, অবসর পেলে একটু প্রশান্তির জন্য কাউয়াদিঘি হাওরপাড়ে আসি। প্রকৃতির রূপ দেখে মন ভরে যায়।
হাওর পাড়ের বাসিন্দা বেতাহুঞ্জা মৌজার গেদন মিয়া বলেন, এবার দেরিতে বৃষ্টি হওয়ায় শরৎকালেও বর্ষার ভাব আছে। হাওরের পেট ভরে আছে বর্ষার জলে। এখনো সাদা শাপলা (স্থানীয় নাম ভেট বা হালুক ) ভালোভাবে ফোটেনি। ভালোভাবে ফুটলে আরো সুন্দর লাগবে।
হাওরের ভুরভুরি বিলের ধারে গেলে দেখা হয় প্রকৃতিপ্রেমী আবু বকরের সঙ্গে। তিনি বলেন, সাদা শাপলা হাওরের শোভা বাড়িয়েছে। স্বচ্ছ জলের মাঝে হংস-মিথুন ভেসে বেড়াচ্ছে। এ যেন কোনো শিল্পীর রঙ-তুলির আঁচড়। সাদা শাপলার জৌলুস প্রকৃতিকে আরো মনোহর করে তোলে।
কৃষি সম্প্রসারণ অভিদপ্তরের রাজনগর উপজেলা কার্যালয়ের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লা আল আমিন বলেন, শাপলা সপুষ্পক পরিবারের জলজ উদ্ভিদ। সাদা শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। এই ফুল আমাদের দেশের হাওর, বিল ও দিঘিতে বেশি ফোটে।
ঢাকা/রফিক