এক হাজার বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডের অংশগ্রহণে দারাজ সেলার সামিট অনুষ্ঠিত
Published: 31st, August 2025 GMT
বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের অন্যতম প্রধান প্ল্যাটফর্ম দারাজ বাংলাদেশসেলার সামিট ২০২৫ সফলভাবে আয়োজন করেছে, যেখানে এক হাজারেরও বেশি বিক্রেতা ও শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড অংশগ্রহণ করেছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড এবং এ শিল্পে অগ্রগামী ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। ‘হ্যাপি সেলিং’ থিমের ওপর ভিত্তি করে আয়োজিত এই সম্মেলনটি দেশের ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোর অবদানকে স্বীকৃতি দিয়েছে। পাশাপাশি দারাজ ভবিষ্যৎ উদ্ভাবনী পরিকল্পনাসমূহও উন্মোচন করে।
সম্মেলনের প্রধান ঘোষণা অনুযায়ী, বর্তমানে দারাজ ২০০টির বেশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করছে এবং শিগগিরই এই সংখ্যা ৫০০-এ উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, দারাজ বাংলাদেশ ডিজিটাল মার্কেটিং-এ বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ‘ওয়ান-স্টপ সলিউশন’ তৈরি করার ঘোষণা দিয়েছে। এর মাধ্যমে বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোকে ১,০০০-এরও বেশি ইনফ্লুয়েন্সার ও অ্যাফিলিয়েটের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে, যাদের মিলিত ফলোয়ার সংখ্যা ৫০ লাখের বেশি।
দারাজ তাদের আসন্ন মেগা ক্যাম্পেইন—৯.
সেলার সামিটে প্ল্যাটফর্মের উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ড পার্টনারকে সম্মাননা জানানো হয়। এর মধ্যে ডেটল 'সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড' লাভ করে, লটো, হেয়ার এবং রিয়েলমি যথাক্রমে প্লাটিনাম, গোল্ড এবং সিলভার ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়। ডিএমএস সুপারস্টার অ্যাওয়ার্ড পায় টেটন এবং ওয়েলেসিয়াকে বর্ষসেরা নারী উদ্যোক্তা হিসেবে মনোনীত করা হয়। শপ্রোবিডি 'বেস্ট চয়েস সেলার অ্যাওয়ার্ড' লাভ করে, এবং ইউনিলিভার 'বেস্ট চয়েস ব্র্যান্ড পার্টনার' হিসেবে স্বীকৃতি পায়। সবশেষে, টিভি হাট অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স, নিউ উদয় ইলেকট্রনিক্স, রিস্ট ওয়াচ, ফার্নিচার প্লাস, লুক শপ বিডি, গ্যালাক্সি হেলথকেয়ার, মুড স্ট্রিংস এবং বাটা 'মার্কেটপ্লেস লিডার অ্যাওয়ার্ড' অর্জন করে।
অনুষ্ঠানের ই-ক্যাবের প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের সমন্বয়ক মুহাম্মদ সাঈদ আলী, বলেন, “দারাজ শুধু একটি মার্কেটপ্লেস নয়, এটি বাংলাদেশের ডিজিটাল কমার্সের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ইকোসিস্টেম তৈরি করছে। বিক্রেতা, ব্র্যান্ড এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলোকে (এসএমই) ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দারাজ দেশের অনলাইন অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখছে।”
দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং দারাজ গ্রুপের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা বেন ই বলেন, “আলিবাবা ইকোসিস্টেমের ২০ বছরেরও বেশি ই-কমার্স দক্ষতার উপর ভিত্তি করে, দারাজ বাংলাদেশে গ্রাহক, ব্র্যান্ড এবং বিক্রেতাদের জন্য অভিজ্ঞতাকে ক্রমাগত উন্নত করছে। প্রযুক্তি, লজিস্টিকস এবং মার্কেটিং সলিউশনসে চলমান বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা আরও বড় প্রবৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে দারাজ গ্রাহকের স্বার্থে বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ড অংশীদারদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
ঢাকা/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (গভর্নেন্স পারফরমেন্স মনিটরিং সিস্টেম- জিপিএমএস)’ বাস্তবায়নে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে তিন সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার।
সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কমিটিতে বাকি দুই সদস্য হলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহিতা, দক্ষতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) পরিবর্তে নতুন সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (জিপিএমএস) চালু করা হয়েছে। এই জিপিএমএস বাস্তবায়নে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কমিটিকে সহায়তা করবেন। তাছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এ কমিটি জিপিএমএস বাস্তবায়নের বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসে সেকশন ১-এর আওতায় প্রস্তুত করা পরিকল্পনা অনুমোদন দেবে এবং অর্থবছর শুরুর আগে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে এ কমিটি।
এছাড়া, প্রতি অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের সার্বিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। জিপিএমএস বিষয়ে সরকারের দেওয়া অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা