নড়াইলে ডাকাতিকালে কুপিয়ে হত্যা: ৫ জনের যাবজ্জীবন
Published: 2nd, September 2025 GMT
নড়াইলের সদর উপজেলায় ডাকাতির সময় একজনকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেক কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এলিনা আক্তার এ দণ্ডাদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামির মধ্যে তেজারত মোল্যা আদালতে উপস্থিত থাকলেও বাকি চারজন পলাতক রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পরিবারের দাবি ‘এটি হত্যা’
সাঁথিয়ায় পুত্রবধূর বঁটির কোপে প্রাণ গেল শ্বশুরের
নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আজিজুল ইসলাম কারাদণ্ডের তথ্য জানিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, নড়াইল সদর উপজেলার ধুড়িয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ মুন্সীর ছেলে শাহীন মুন্সি, ভওয়াখালী গ্রামের মৃত লালমিয়ার ছেলে আক্তারুজ্জামান বাবুল, ছলেমান শেখের ছেলে সেলিম শেখ, ফেদী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম মৃধা এবং মাগুরার খানপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে তেজারত মোল্যা।
আলাদত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ২৪ জুন নড়াইল সদর উপজেলার ভওয়াখালী গ্রামে নির্মল পোদ্দার ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ১১টার সময় অজ্ঞাত আসামিরা বাড়িতে ঢুকে ডাকাতির উদ্দেশে সব সদস্যদের অস্ত্রের মুখে হাত পা-বেঁধে ফেলেন। নির্মল পোদ্দার ডাকাতদের রাম দায়ের কোপে মারাত্মক আহত হন। ডাকাতরা প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত নির্মল পোদ্দার মারা যায়। এ ঘটনায় নির্মল পোদ্দারের মেয়ে পলি পোদ্দার নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন।
তিন আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেন আদালত।
ঢাকা/শরিফুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আস ম র
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।