শরীয়তপুরের ডামুড্যায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জামাল বাদশা (৯) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর এলাকার খায়রুন নেসা মুজিব নূরানী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে।

জামাল বাদশা সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের শুবচনী এলাকার বাসিন্দা ও মাদ্রাসার নূরানী শাখার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

আরো পড়ুন:

বরগুনায় ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৪০

ঝিনাইদহে ডোবার পানিতে শিশুর মৃত্যু

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামাল বাদশা প্রতিদিনের মতো পাঠগ্রহণ শেষে শ্রেণিকক্ষের বাহিরে বের হওয়ার সময় টিনের বেড়া স্পর্শ করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে শিক্ষক ও সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি খবীর উদ্দিন বলেন, ‘‘শ্রেণিকক্ষের টিনের বেড়া বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। ক্লাস শেষে বের হওয়ার সময় এক ছাত্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমি এ ঘটনায় শোকাহত।’’

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা পারভীন আক্তার বলেন, ‘‘বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনায় এক শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হই।’’

পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘‘খবর পেয়ে হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছি। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/আকাশ/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ