ফেনীতে যাত্রীবেশে অটোরিকশা ছিনতাই, চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
Published: 7th, September 2025 GMT
ফেনীতে অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশার খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পাবনায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাকীবিল্লাহ গ্রেপ্তার
শরীয়তপুরে যুবলীগ নেতা লিটন গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, অভিযানে প্রথমে যাত্রীবেশে ছিনতাইয়ে অংশ নেওয়া তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- ফেনী সদর উপজেলার উত্তর চাড়িপুর এলাকার এমদাদুল ইসলাম পাভেল (২১), চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মনোহর আলী মনা (২১) ও লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মো.
পরে তাদের দেওয়া তথ্য মতে, ফেনী সদর উপজেলার ইলাশপুরের ইয়াছিন মানিক ওরফে বোমা মানিক (৪০), নোয়াখালীর সুধারামপুরের নুরুল আমিন শুকুর (২৮) ও ফেনী সদর উপজেলার দেবীপুরের এনামুল হককে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ আরো জানায়, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের শহীদ শহিদুল্লা সড়কের হোটেল ডিলাক্সের সামনে থেকে যাত্রীবেশে তিনজন ছিনতাইকারী রিকশায় ওঠেন। মহিপাল যাওয়ার কথা বলে তারা ভাড়া ঠিক করেন। পরে ফতেপুর ফ্লাইওভারের নিচে গিয়ে চালককে ছুরিকাঘাত করে তারা অটোরিকশাটি নিয়ে যায়।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী চালক মো. শাহিদ ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করার পর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, “ছিনতাইয়ের পর অটোরিকশাটি বোমা মানিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে মানিক ও শুকুর মিলে রিকশার একটি অংশ বাথানিয়া মসজিদের পুকুরে ফেলে রেখে চাকা ও ব্যাটারি আলাদা করে বিক্রি করে। এ সময় অটোরিকশার তিন খণ্ড, তিনটি চাকা ও চারটি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়।”
তিনি বলেন, “গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। রবিবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।