বন্দরে মুকুলের ওপর হামলার মামলায় বজলুসহ ১৬ আসামির জামিন
Published: 8th, September 2025 GMT
বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি বজলুর রহমানসহ ১৬ জন আসামি। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো: আবু শামীম আজাদের আদালত এ জামিন প্রদান করেন।
এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর আদালতের কাছে আত্মসমর্পন করেন আসামীরা। আদালত মূলনথী প্রাপ্তি সাপেক্ষে সোমবার শুনানির দিন ধার্য্য করেন। এদিন উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পুলিশ রিপোর্ট পাওয়া আগ পর্যন্ত আসামিদের জামিন প্রদান করেন।
এ বিষয়ে আসামী পক্ষের আইনজীবী মো: মাসুদ রানা জানান, আসামিরা হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের সময় শেষ হলে তারা রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করেন। কিন্তু আদালত মূলনথী প্রাপ্তি সাপেক্ষে সোমবার শুনানির দিন ধার্য্য করেন। আজ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পুলিশ রিপোর্ট পাওয়া আগ পর্যন্ত আসামীদের জামিন প্রদান করেন আদালত।
জামিন পেয়ে বজলুর রহমান বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা হয়েছিলো। আমরা ওই মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলাম। আজ আমরা বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করি। পরে আইনজীবীদের শুনানি শেষে বিজ্ঞ জজ আমাদের জামিন মঞ্জুর করেন। আশাকরি আমরা এ মামলায় ন্যায় বিচার পাবো এবং এ মিথ্যা মামলা থেকে আমরা বেকুসুর খালাস পাবো।
মুকুলের ওপর হামলাকে অনাকাঙ্খিত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, মুকুল সাহেবের সাথে আমার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কথাবার্তা হতো, এমনকি ওনার সাথে একত্রে আমি জেলও খেটেছি। ওনার সাথে আমার কোন বিরোধ নাই।
আসল কথা হলো, ওনি ওখানে যাবে আমি জানিও না। আমাকে ওনি কখনও বলেও নাই যে, ওনি ওখানে যাবে। ওনি একটা কাজের এগ্রিমেন্ট সাইন করতে ওখানে গিয়েছিলেন। ওই কাজটা নাকি দেওয়ান এন্টারপ্রাইজের নামে।
ওটা নাকি আওয়ামী লীগের এক নেতা নারায়ণগঞ্জ জেলা মটর চালক লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন নামে এক লোকের। ওই কাজটা ওখানে তদারকি করতে গিয়েছিলো মুকুল সাহেব। এটা আমার নলেজের বাইরে। তো, ওখানে যাওয়ার পরে আলাউদ্দিন বিগত ফ্যাসিবাদি হাসিনা সরকার আমলে ওই এলাকা লোকজনকে অনেক অত্যাচার জুলুম করেছে।
ওই বিক্ষোদ্ধ লোকজন আলাউদ্দিন আসার সংবাদ পেয়ে একত্রিত হয় এবং এক পর্যায়ে এ অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটে। আমি এটার সাথে কোনভাবেই জড়িত ছিলাম না। সেখানে তিনি ওই আওয়ামী লীগের নেতা দ্বারা প্রভাহিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা মামলা করেছে।
আজকের এ জামিনের মধ্যদিয়ে আমি মনেকরি প্রাথমিক একটা ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমার দৃঢ় বিশ^াস ভবিষ্যতেও আমরা আদালতের কাছে ন্যায় বিচার পাবো এবং আমরা সবাই এ মামলা থেকে মুক্তি পাবো।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক (বহিস্কৃত) আতাউর রহমান মুকুলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। বন্দর হরিপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে তাকে মারধর ও হেনস্থা করে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় তাকে বিবস্ত্র করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় মুকুলকে উদ্ধার করে। পরবর্তিতে এ ঘটনায় বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি বজলুর রহমানসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ২৫জনকে আসামী করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র রহম ন ন কর ন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার
মৌলভীবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাজতখানার ভেতর থেকে মোকাদ্দুস (৩২) নামে আসামির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পিবিআই।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজার জেলা শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কে পিবিআইর হাজতখানা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
মোকাদ্দুস কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি আলোচিত লিটন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৯ আগস্ট কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের ধানক্ষেত থেকে লিটন নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে মোকাদ্দুস পলাতক ছিলেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন মোকাদ্দুস। পরে তাকে লিটন হত্যার মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।
পিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর খাওয়া-দাওয়া শেষে মোকাদ্দুসকে ৭-৮ জন আসামির সঙ্গে হাজতখানায় রাখা হয়। সোমবার ভোর ৬টার দিকে ডিউটি অফিসার গিয়ে দেখেন, মোকাদ্দুস নিজের লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মোকাদ্দুসের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
১১ সেপ্টেম্বর লিটনের বাবা সাত্তার মিয়া অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় শামিম নামের আরেকজনকেও গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. জাফর হুসাইন বলেছেন, লিটন হত্যা মামলার তদন্ত আমাদের হাতে। মোকাদ্দুস রবিবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সকালে হাজতখানায় আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি আমরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি।
ঢাকা/আজিজ/রফিক