ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পর এখন চলছে গণনা। আর ফলাফল জানতে অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা সিনেট ভবনে জড়ো হচ্ছেন।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টায় এই খবর লেখা পর্যন্ত গৃহীত ভোট গণনা চলছিল। যতদূর জানা গেছে, আরো সময় লাগবে গণনা শেষ করতে। তবে ফলাফল নিয়ে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ছে।

আরো পড়ুন:

ডাকসু ভোটের ফল: একুশে ও সুফিয়া কামাল হলে সাদিক, ফরহাদ, মহিউদ্দিন জয়ী

পরাজয়কে সম্মানিত করার সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান হাসনাতের

সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ হয়। লাইনে থাকা ভোটারদের ৪টার পরও ভোট দিতে দেওয়া হয়। 

এবার ডাকসুর ৩৭তম নির্বাচন, যেখানে ভোট পড়েছে ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এবার মোট ভোটার প্রায় ৪০ হাজার। ভোট ঘিরে হলে হলে আনন্দের সঙ্গে উৎকণ্ঠাও দেখা যায়।  

ভোটগ্রহণের পুরো ৮ ঘণ্টা উৎসবমুখর ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা ভোটগ্রহণের সময় কিছু কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি ও অনিয়মের অভিযোগ তোলেন, অসন্তোষ প্রকাশ করেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী। অবশ্য অভিযোগ আমলে নিয়ে তা শক্ত হাতে মীমাংসা করার দাবি করেছে প্রশাসন।

এই গভীর রাতে এখন সবাই অপেক্ষা করছে ফলাফলের। কে হচ্ছেন ডাকসুর ভিপি, সেদিকেই সারা দেশের মানুষের নজর। টেলিভিশন ও সোশ্যাল মিডিয়ার লাইভের দিকে চোখ পেতে আছে কোটি মানুষ।

ভোট গণনা যত এগোচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে ততই বাড়ছে মানুষের ভিড়। শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, শহীদ মিনার, নীলক্ষেতে অপেক্ষায় রয়েছে বহু মানুষ; পছন্দের প্রার্থীর ফল জানতে রাত জেগে আছেন তারা।

আর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতর অপেক্ষা করছেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। ডাকসু ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে সিনেট ভবনের সামনে। ফলে সেখানেই শিক্ষার্থীরা জড়ো হচ্ছেন।

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন মধ্য রাতে ‘অতি জরুরি বিজ্ঞপ্তি’ জারি করে জানিয়েছেন, আটটি কেন্দ্রে ভোট গণনার পর ডাকসু ও হল সংসদের ফল ঘোষণা করা হবে। আর ডাকসুর অফিসিয়াল ফল ঘোষণা করা হবে সিনেট ভবনের সামনে থেকে।

ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে যতটা জানা যাচ্ছে, তাতে ভিপি পদে জয়ের দৌড়ে দুটি নাম উঠে আসছে। ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের আবিদুল ইসলাম খান ও শিবির-সমর্থিত প্যানেলের সাদিক কায়েমের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলছে। তবে এই দুজনের বাইরে অন্য কেউও দৌড়ে এগিয়ে যেতে পারেন। এখন অপেক্ষা সেই কাঙ্ক্ষিত নামটি জানার।

ডাকসুকে বলা হয় ‘দ্বিতীয় সংসদ’ বা ‘মিনি সংসদ’। জাতীয় সংসদের ছায়া দেখা যায় ডাকুসতে। বলা হয়ে থাকে, ডাকসুর নির্বাচন থেকে জাতীয় রাজনীতির হালচাল সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। কারণ, এই নির্বাচনের মানুষের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। 

মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে শাহবাগে ভোটের ফল জানতে অপেক্ষমাণ কয়েকজনের কথা হয়। তারা পছন্দের প্রার্থীর জন্য দোয়া করছেন, যেন কাঙ্ক্ষিত ফলই তারা শুনতে পারেন। 

ঢাকা/রায়হান/মেহেদী/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী

বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন; পরে আবার হঠাৎই হারিয়ে গেছেন। কিমি কাতকার তেমনই একজন। ১৯৮০-এর দশকে বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত ও সাহসী অভিনেত্রীদের একজন।

কিমির উত্থান
আশির দশকটি বলিউডে সৃজনশীল ও পরিবর্তনের সময় ছিল, যেখানে অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের ছাপ ফেলেছেন। কিমি ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম উদীয়মান নায়িকা। পর্দায় সাহসী দৃশ্যের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। যদিও তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; কিন্তু এর মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।

মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া কিমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, পরে তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’ দিয়ে আলোচিত হন তিনি। সিনেমার সাফল্য তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হেমন্ত বীরজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেন। তবে এ ছবিতেই একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। দৃশ্যটি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি জানতাম না এই দৃশ্য কতটা বিতর্কিত হবে। কিন্তু অভিনয় আমার জন্য সব সময় ছিল সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ।’ এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, গোবিন্দ ও আদিত্য পঞ্চোলির সঙ্গেও সিনেমা করেন তিনি। তাঁর নাচ ও অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তোলে।

‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এ কিমি কাতকার। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ