Risingbd:
2025-09-18@07:40:28 GMT

নরসিংদীতে ২ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

Published: 11th, September 2025 GMT

নরসিংদীতে ২ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

নরসিংদীর শিবপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের বৈলাব গ্রামে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তারা।

নিহতরা হলেন- অলিউল ইসলাম সোহাগ (৪০) ও সাজ্জাদুল ইসলাম রানা (৩৫)। তারা একই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আসাদুজ্জামান মন্টুর ছেলে। 

আরো পড়ুন:

আফরিন হত্যা: মুখে কালো কাপড় বেঁধে কুবি শিক্ষার্থীদের মৌন মিছিল  

১৬ ডাকাতি মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, দিদার ও বিদ্যুৎতের বাড়ির টিউবওয়েলের পানি চাচাতো ভাই সোহাগদের বাড়ির ওপর দিয়ে নিষ্কাশন করাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দুই পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে চাচা মামুন ও তার দুই ছেলে দিদার ও বিদ্যুৎ ছুরি, বল্লম, শাবল নিয়ে সোহাগ ও তার ছোট ভাই রানার ওপর হামলা চলায়। ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই রানা নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় সোহাগকে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতদের মা শামীমা আক্তার বলেন, “দিদারদের টিউবওয়েলের পানি আমাদের বাড়ির ওপরে আসে। এ কারণে আমাদের চলাচল করতে সমস্যা হয়। বিষয়টি আমার ছোট ছেলে রানা তার চাচা মামুনকে জানান। মামুন এবং তার দুই ছেলে দিদার ও বিদ্যুৎ আমার ছোট ছেলে রানাকে ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করে। রানার চিৎকার শুনে আমার অপর ছেলে সোহাগ দৌঁড়ে ঘটনাস্থলে যায়।”

তিনি আরো বলেন, “দিদার ও বিদ্যুৎ তখন সোহাগকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। পরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই।”

শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পারিবারিক বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মরদেহ দুইটি ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।” 

ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য

এছাড়াও পড়ুন:

১৭ বছর ধরে নলকূপ থেকে গড়গড়িয়ে পড়ছে পানি, জন্মাচ্ছে কৌতূহল

ভবেরমুড়া। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই গ্রামটির অবস্থান বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত এলাকায়। এই গ্রামেরই একটি নলকূপকে ঘিরে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। নলকূপটিতে নেই কোনো হাতল বা বৈদ্যুতিক মোটরের সংযোগ। এরপরও দিনরাত নির্গত হচ্ছে সুপেয় পানি।

নলকূপটি যেখানে স্থাপন করা হয়েছে, সেটি ‘ভবেরমুড়া পাক দরবার শরীফ’ নামে একটি মাজার প্রাঙ্গণ। স্থানীয় ও মাজার কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই নলকূপটি প্রায় ১৭ বছর আগে স্থাপন করা হয়েছিল। স্থাপনের দিন থেকেই টানা ১৭ বছর ধরে সেটি থেকে অনবরত পানি বের হচ্ছে। এই পানি এলাকার লোকজন পান করছেন, যাচ্ছে কৃষিজমিতেও। এরই মধ্যে স্থানীয়দের মধ্যে নলকূপ নিয়ে বিভিন্ন বিশ্বাস জন্মাতে শুরু করেছে। তাঁরা বলছেন, বিশেষ কোনো ‘কুদরতে’ গড়গড়িয়ে এই পানি পড়ছে। এ ছাড়া এই পানি পান করলে ‘মনের আশা পূরণ’ হয় ভেবেও অনেকে সেটি পান করছেন।

কুমিল্লা নগর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ভবেরমুড়া গ্রামটির অবস্থান। সোমবার দুপুরে সরেজমিনে ওই নলকূপ থেকে গড়গড়িয়ে পানি পড়তে দেখা গেছে। নলকূপটি থেকে পানি তুলতে চাপ দেওয়ার জন্য কোনো হাতলও নেই। নিজ থেকেই সেটির মুখ দিয়ে পানি পড়ছে। বের হওয়া পানির চাপও অনেক। আধা লিটারের একটি মগ ভরতে সময় লেগেছে মাত্র দুই সেকেন্ড। সে হিসাবে প্রতি মিনিটে ১৫ লিটার, এক ঘণ্টায় ৯০০ লিটার এবং দিন ও রাত মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টায় বের হচ্ছে ২১ হাজার ৬০০ লিটার পানি।

মূল কারণটা হচ্ছে ভূগর্ভে পাহাড়ি এলাকায় পানির স্তর অনেক ওপরে চলে আসে। যার কারণে কোনো নলকূপ স্থাপন করলে ওই সব লেয়ারে সংযোগ পেলেই পানির অধিক চাপে এভাবে অনবরত পানি নির্গত হয়। যেটির পানির চাপও ভালোই থাকে।মোহাম্মদ নাসরুল্লাহ, নির্বাহী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, কুমিল্লা

স্থানীয় বাসিন্দা শিউলি বেগম নামে এক নারী বলেন, ‘গ্রামে ও মাজারের পাশে বর্তমানে অনেক টিউবওয়েল আছে। কিন্তু কোথাও থেকে এভাবে পানি পড়ে না। অন্য টিউবওয়েলে এক কলস পানি ভরতে অনেক সময় লাগে। আর এখানে এক মিনিটও লাগে না। এই পানি অনেক পরিষ্কার। আমরা এটি দিয়ে রান্না করি, নিজেরাও পান করি।’

সরেজমিনে দেখা দেখা যায়, গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন ওই নলকূপের পানি পান করছেন। কেউ হাত-মুখ ধুচ্ছেন, আবার কেউ গোসল করছেন। দূর থেকে আসা মানুষজন এই পানি কেউ জগ বা বোতলে ভরে নিয়ে যাচ্ছেন। নলকূপ থেকে অনবরত বের হওয়া এই পানি পাইপ ও নালার মাধ্যমে চলে যাচ্ছে আশপাশের কৃষিজমিতে।

‘ভবেরমুড়া পাক দরবার শরীফ’ নামে ওই মাজারের বর্তমান পীর মাওলানা কাজী রফিকুল ইসলাম হক শাহ্। প্রথম আলোকে তিনি জানান, প্রায় ১৭ বছর আগে এই টিউবওয়েল তিনি নিজ উদ্যোগ নিয়ে স্থাপন করেন। এটির গভীরতা প্রায় ৬০০ ফুট। এই দরবার শরীফের (মাজার) বয়স প্রায় ১০০ বছর। এখানে তাঁর দাদা ও বাবাও এই মাজারের পীর ছিলেন। প্রতিবছর এতে বাংলাদেশ ও ভারতের অসংখ্য ভক্তের আগমন ঘটে। বাংলাদেশ ও ভারত মিলিয়ে এই দরবারের লক্ষাধিক ভক্ত রয়েছেন। মাজারে একসময় সুপেয় পানির অভাব ছিল। আশপাশেও পানির তেমন কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ভক্তরা পুকুর থেকে পানি পান করতেন। সবার জন্য বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করতে এই নলকূপ বসানো হয়।

নলকূপটি থেকে নির্গত সুপেয় পানি সাধারণ মানুষ পান করার পাশাপাশি নানা কাজে ব্যবহার করান। অনেকে নিয়েও যান

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৭ বছর ধরে নলকূপ থেকে গড়গড়িয়ে পড়ছে পানি, জন্মাচ্ছে কৌতূহল