আর্থিক দ্বন্দ্বের জেরে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় মাকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে রবি চন্দ্র ভদ্র (৪২) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের মান্দারতা গ্রামে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
নরসিংদীতে ২ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
আফরিন হত্যা: মুখে কালো কাপড় বেঁধে কুবি শিক্ষার্থীদের মৌন মিছিল
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.
নিহত করুনা রানী (৬২) মান্দারতা গ্রামের মৃত পটিক চন্দ্র ভদ্রর স্ত্রী। অভিযুক্ত রবি চন্দ্র তার ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, গতকাল রাত ১০টার দিকে মা-ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে রবি চন্দ্র ধারালো বটি দিয়ে তার মায়ের গলায় কোপ দেন। ঘটনাস্থলেই করুনা রানী ভদ্রের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই রবি চন্দ্র পালিয়ে যান। আর্থিক বিষয় নিয়ে মা-ছেলের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। সেই বিরোধের জেরেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে।
ওসি এ.আর.এম আল মামুন বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/চন্দন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য অভ য গ
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’