আফগান সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় পাকিস্তান নিরাপত্তা বাহিনী ও পাকিস্তানি তালেবানদের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১৯ সেনাসহ মোট ৬৪ জন নিহত হয়েছেন। 

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানায়, সাহসিক লড়াইয়ের পর শাহাদাত বরণ করেছেন ১৯ সেনা। আর নিহত হয়েছে ৪৫ জঙ্গি। খবর আলজাজিরার। 

আরো পড়ুন:

শিশুদের ঝগড়ার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২

এদিকে, পাকিস্তান তালেবান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইসলামাবাদ বলছে, আফগান তালেবানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা এই গোষ্ঠী আফগান মাটি ব্যবহার করে পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। এজন্য কাবুল সরকারকে ‘দায়িত্ব পালনের’ আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

পাকিস্তানি সেনারা নিহত জঙ্গিদের ‘খারিজি’ বলে অভিহিত করেছে এবং অভিযোগ করেছে তারা ভারতের মদদপুষ্ট। যদিও এ অভিযোগের কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। ভারত এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এ বিষয়ে আফগান তালেবান সরকার বা ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

২০২১ সালে আফগান তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে পাকিস্তানে সশস্ত্র হামলা বেড়েছে। পাকিস্তানি তালেবান  অনেক নেতা ও যোদ্ধা আফগানিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ করে ইসলামাবাদ।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে শনিবারের এ সংঘর্ষ ছিল কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ঘটনা। 

এএফপির হিসাবে, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৬০ জন নিহত হয়েছেন, অধিকাংশই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। আর গত বছর পাকিস্তানে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১ হাজার ৬০০ এর বেশি, যা ছিল প্রায় এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বছর।

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ স ঘর ষ আফগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ