গাইবান্ধায় ঘাঘট নদী থেকে স্কুলশিক্ষিকা তাসমিন আরা নাজের (৪৪) ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের পূর্ব কোমরনই মিয়া পাড়া সংলগ্ন নদী থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন:

বান্দরবানে ১৭৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক

শিক্ষক নিয়োগ চায় ইবির চারুকলা বিভাগ

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ইকবাল পাশা জানান, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।  নিহতের পরিবারের অভিযোগ না থাকায় লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত তাসমিন আরা নাজ গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের পূর্ব কোমরনই মিয়াপাড়া গ্রামের নাজির হোসেনের মেয়ে। তিনি স্থানীয় এনএইচ মর্ডান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন।

এলাকাবাসী জানায়, ঘাঘট নদীতে লাশ ভাসতে দেখে তারা থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। কর্মস্থল ও এলাকায় তিনি শান্ত-শিষ্ট স্বভাবের শিক্ষিকা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে সহকর্মী শিক্ষক ও এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন।

খোলাহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম হক্কানী জানান, কিছু দিন থেকে তাসমিন আরা নাজ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। দুপুরের দিকে তার বাড়ির অদূরে ঘাঘট নদীতে তার ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। 

ঢাকা/মাসুম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র ল শ উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ