আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
Published: 17th, September 2025 GMT
বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার যথারীতি স্বাভাবিকভাবে চলছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারক মিয়া জানান, ভারতের সরকারি ছুটির কারণে দুই দেশের মধ্যে কোনো বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে না। ফলে স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে।
ফারক মিয়া আরো জানান, একদিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে আবার স্বাভাবিক নিয়মে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
প্রতি বছর বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে ভারতের ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। এর ফলে সীমান্তবর্তী স্থলবন্দরগুলোতে সাময়িকভাবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। তবে যাত্রী পারাপার চালু থাকায় ভ্রমণকারীদের কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয় না।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসহ সাতটি পাহাড়ি রাজ্যে শুটকি, মাছ, পাথর, সিমেন্ট সামগ্রীসহ পণ্য রপ্তানি হয়।
ঢাকা/পলাশ/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়া সম্ভব
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”
তিনি বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সমবায় খাতকে আধুনিক ও গতিশীল করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, সঞ্চয় ও ঋণদান এবং কুটিরশিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”
আরো পড়ুন:
মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে নতুন অধ্যাদেশ অনুমোদন
নির্বাচন বানচালের যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা
শনিবার (১ নভেম্বর) ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো ১ নভেম্বর, ২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সকল সমবায়ী ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “দেশ ও জনগণের উন্নয়নে গৃহীত যেকোনো কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে সামাজিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত অপরিহার্য। সমবায়ের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এ কাজ আমরা অনায়াসে করতে পারি। সমবায় সমিতিগুলো শুধু আর্থিক প্রতিষ্ঠানই নয় বরং সমাজের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সমবায় আন্দোলনের বিকল্প নেই। অন্তর্বর্তী সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই সমাজ প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যেতে চায়। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সমবায়ের ভূমিকা অপরিসীম।”
তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আসুন, সমবায়ের চেতনাকে ধারণ করে সাম্য ও সমতায় আমরা সকলে মিলে গড়ে তুলি নতুন বাংলাদেশ।”
প্রধান উপদেষ্টা ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস, ২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। খবর বাসসের।
ঢাকা/সাইফ