গোলে ফিরলেন মেসি, জয়ে ফিরল মায়ামিও
Published: 17th, September 2025 GMT
আগের দুই ম্যাচে গোল পাননি লিওনেল মেসি। সেই দুই ম্যাচে জয় পায়নি ইন্টার মায়ামিও। অবশেষে আজ বুধবার সকালে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) সিয়াটল সাউন্ডার্সের বিপক্ষে গোল করার পাশাপাশি গোলে সহায়তাও করলেন মেসি।
আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির গোলে ফেরার ম্যাচে জয় পেয়েছে মায়ামিও। সাউন্ডার্সকে মায়ামি হারিয়েছে ৩–১ গোলে। এই জয়ে সাউন্ডার্সের বিপক্ষে প্রতিশোধও নেওয়া হলো মায়ামির। গত ১ সেপ্টেম্বর লিগস কাপ ফাইনালে এই সাউন্ডার্সের কাছেই ৩–০ গোলে হেরেছিল হাভিয়ের মাচেরানোর দল।
ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে ৩৮ বছর বয়সী মেসি ১২ মিনিটে গোল বানিয়ে দেন স্প্যানিশ সতীর্থ জর্দি আলবাকে। এরপর ৪১ মিনিটে সেই আলবার পাস থেকে নিজেও গোল করে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। এটি মেসির ক্যারিয়ারের ৮৮০তম গোল।
আরও পড়ুনপেনাল্টিতে গোল মিস মেসির, মায়ামির বড় হার১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫চলতি বছর এ নিয়ে ৪০ গোলে অবদান রাখলেন মেসি। টানা ১৯তম বছর অন্তত ৪০ গোলে অবদান রাখলেন। বিরতির পর ৫২ মিনিটে আমেরিকান ইয়ান ফ্রে মায়ামির হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। ৬৯ মিনিটে মেক্সিকান মিডফিল্ডার ওবেদ ভার্গাস সাউন্ডার্সের হয়ে একটি গোল শোধ করেন।
মেসি–আলবাদের উদ্যাপন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স উন ড র স র
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’