ভোলায় ‘অবাধে’ ধরা ইলিশ কোথায়, কীভাবে বিক্রি হচ্ছে
Published: 10th, October 2025 GMT
অন্ধকার তখনো কাটেনি। বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটা বাজে। ভোলার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জোড়খালে দেখা গেল, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশের খালে একের পর এক ট্রলার আসছে। ট্রলারের মাঝিমাল্লা সারা রাত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশা ও মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করেছেন। সেই ইলিশ মাছ এখানে বিক্রি করতে এনেছেন।
খালের মধ্যেই নৌকার ওপর কেনাবেচা হচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে পাইকার এসেছেন এসব ইলিশ কেনার জন্য। শুধু পাইকার এসেছেন এমন নয়; এসেছেন গ্রামবাসী, আড়তদার। গ্রামবাসী এক হালি, দুই হালি ইলিশ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। পাইকারেরা কিনছেন ঝুড়ি ভরে। তাঁরা মাছ নেওয়ার জন্য অটোরিকশা নিয়ে এসেছেন।
সাধারণ ক্রেতারা মাছ কিনে বাড়ি যাওয়ার সময় পাইকার-আড়তদারদের দুটো কথা শুনিয়ে যাচ্ছেন। গালাগালের কারণ পাইকারদের কারণে কম দামে তাঁরা মাছ কিনতে পারছেন না।
মো.
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, অক্টোবরের ২২ দিন (৪-২৫ অক্টোবর) মা-ইলিশ ডিম ছাড়তে নদীতে উঠে আসে। ভোলা দেশের অন্যতম মৎস্য প্রজনন অভয়াশ্রম। এখানে মেঘনা, তেঁতুলিয়া, ইলিশা নদীসহ বিশাল সাগর মোহনা। এই ২২ দিন ওই অভয়াশ্রম জলসীমায় জাল ফেলা, ইলিশ মাছ শিকার, বহন, মজুত ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। একটি মা ইলিশ নদীতে পাঁচ-ছয় লাখ ডিম ছাড়বে। নিষেধাজ্ঞা মেনে যদি সঠিকভাবে মা ইলিশের ডিম ছাড়ার পরিবেশ তৈরি করা যায় এবং জাটকা সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে দেশের মানুষের ইলিশ মাছের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব।
খালের পাড় থেকে ইলিশ কিনে নিয়ে যান পাইকারেরা। ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জোড়খাল এলাকায়উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এস ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ভোলায় ‘অবাধে’ ধরা ইলিশ কোথায়, কীভাবে বিক্রি হচ্ছে
অন্ধকার তখনো কাটেনি। বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটা বাজে। ভোলার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জোড়খালে দেখা গেল, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশের খালে একের পর এক ট্রলার আসছে। ট্রলারের মাঝিমাল্লা সারা রাত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশা ও মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করেছেন। সেই ইলিশ মাছ এখানে বিক্রি করতে এনেছেন।
খালের মধ্যেই নৌকার ওপর কেনাবেচা হচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে পাইকার এসেছেন এসব ইলিশ কেনার জন্য। শুধু পাইকার এসেছেন এমন নয়; এসেছেন গ্রামবাসী, আড়তদার। গ্রামবাসী এক হালি, দুই হালি ইলিশ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। পাইকারেরা কিনছেন ঝুড়ি ভরে। তাঁরা মাছ নেওয়ার জন্য অটোরিকশা নিয়ে এসেছেন।
সাধারণ ক্রেতারা মাছ কিনে বাড়ি যাওয়ার সময় পাইকার-আড়তদারদের দুটো কথা শুনিয়ে যাচ্ছেন। গালাগালের কারণ পাইকারদের কারণে কম দামে তাঁরা মাছ কিনতে পারছেন না।
মো. তাজুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, যখন নিষেধাজ্ঞা ছিল না, ঢাকা ও চাঁদপুরের মোকামে মাছ বিক্রি হতো; তখন মাছের দাম ছিল চড়া। তখন সাধারণ ক্রেতারা ইলিশ কিনতে পারেননি। এখন সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এখন একটু সস্তা হলে ইলিশ কিনে খাবেন বলে যাঁরা ভেবেছেন; আড়তদার-পাইকারেরা বেশি দামে মাছ কেনাবেচা করছেন বলে তাঁরা তা পারছেন না।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, অক্টোবরের ২২ দিন (৪-২৫ অক্টোবর) মা-ইলিশ ডিম ছাড়তে নদীতে উঠে আসে। ভোলা দেশের অন্যতম মৎস্য প্রজনন অভয়াশ্রম। এখানে মেঘনা, তেঁতুলিয়া, ইলিশা নদীসহ বিশাল সাগর মোহনা। এই ২২ দিন ওই অভয়াশ্রম জলসীমায় জাল ফেলা, ইলিশ মাছ শিকার, বহন, মজুত ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। একটি মা ইলিশ নদীতে পাঁচ-ছয় লাখ ডিম ছাড়বে। নিষেধাজ্ঞা মেনে যদি সঠিকভাবে মা ইলিশের ডিম ছাড়ার পরিবেশ তৈরি করা যায় এবং জাটকা সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে দেশের মানুষের ইলিশ মাছের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব।
খালের পাড় থেকে ইলিশ কিনে নিয়ে যান পাইকারেরা। ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জোড়খাল এলাকায়