শরৎকাল বিদায় নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। হেমন্ত আসলেই শীত পড়তে শুরু করবে। ত্বকের জন্য দরকার হবে বাড়তি আদ্রতা। এ সময় ত্বকের জন্য মানানসই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। বাজারে বিভিন্ন রকমের ময়েশ্চারাইজার রয়েছে, সেগুলো থেকে বাছাই করার আগে ত্বকের ধরনের সঙ্গে মিলিয়ে নিন। 

বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, ত্বক আর্দ্র রাখতে যেকোনো ধরনের ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যায়।কিন্তু বিষয়টা তেমন নয়। ময়শ্চারাইজার কেনার আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।

আরো পড়ুন:

শিশু টিভি দেখতে-দেখতে খাচ্ছে, এতে কী হচ্ছে জানেন? 

আজ ‘আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস’

সাধারণ এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য

ত্বক শুষ্ক, তৈলাক্ত, সাধারণ বা মিশ্র—যে ধরনেরই হোক না কেন, সে অনুযায়ী ময়শ্চারাইজার বাছাই করুন। সাধারণ এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হালকা ও নন-গ্রিজি ময়শ্চারাইজার ভালো। অন্যদিকে শুষ্ক ত্বকের জন্য ভারী ও ক্রিমযুক্ত ফর্মুলা আদর্শ মনে করা হয়।

সংবেদনশীল ত্বকের জন্য

সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা করতে এসপিএফ যুক্ত ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। সেই সঙ্গে ময়শ্চারাইজারের সুগন্ধি নিয়েও ভাবা উচিত। আপনার ত্বক সংবেদনশীল কিংবা ব্রণপ্রবণ হলে সুগন্ধিযুক্ত ময়শ্চারাইজার এড়িয়ে চলতে হবে।

উল্লেখ্য, ময়শ্চারাইজারের গায়ে থাকা লেবেল দেখে নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। ‘অ্যালার্জি পরীক্ষিত’ লেবেল যুক্ত ময়শ্চারাইজার বেছে নিতে হবে। কারণ, এগুলো ত্বকের রোমকূপ বন্ধ করে না এবং অ্যালার্জির ঝুঁকিও কম।

সূত্র: ডার্মস্টোর 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ চ র ইজ র ব

এছাড়াও পড়ুন:

শাকসু নির্বাচন : গঠনতন্ত্র ছাড়া আর কোনো অগ্রগতি নেই, শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহের পাশাপাশি শঙ্কাও বাড়ছে। নভেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিলেও প্রশাসনের ধীরগতির কারণে এখনো নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়নি। গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করা ছাড়া দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনীর জন্য শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের জুলাইয়ের প্রথমার্ধে প্রবিধি (গঠনতন্ত্র) পুনঃপ্রণয়ন কমিটি গঠন করেন কর্তৃপক্ষ। এর প্রায় তিন মাস পর ৮ অক্টোবর গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করা হয়। এর আগে শাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্ররাজনীতি চালুর বিষয়ে ছাত্রসংগঠনগুলো দাবি জানিয়ে আসছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর শর্ত সাপেক্ষে দলীয় ব্যানারে ছাত্ররাজনীতি চালু করে কর্তৃপক্ষ। শাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে গত তিন মাসে দৃশ্যমান আর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

আরও পড়ুনকেন্দ্রীয় সংসদে ২৩, হল সংসদে ৯ পদ রেখে গঠনতন্ত্র অনুমোদন০৯ অক্টোবর ২০২৫

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, শিক্ষকসহ অন্তত পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শাকসু নির্বাচনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য গত শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে অনলাইনে একটি মতবিনিময় সভা করেন উপাচার্য। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২০০ শিক্ষক অংশ নেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সার্বিক বিষয়ে আলোচনার পর শাকসু নিয়ে শিক্ষকদের সহযোগিতা কামনা করে বক্তব্য শেষ করেন। শেষ মুহূর্তে একজন শিক্ষক উপাচার্যের কাছে সভার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। একপর্যায়ে অনলাইন বৈঠকে কয়েকজন শিক্ষকের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরপর কয়েকজন শিক্ষক শাকসুর বিষয়ে যৌক্তিক সময় ও সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেন। শাকসুর বিষয়ে আলোচনার জন্য ওই সভা ডাকা হলেও উদ্দেশ্য সফল হয়নি।

গত রোববারের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করে গঠনতন্ত্র হস্তান্তরের কথা ছিল। প্রশাসনের ধীরগতির কার্যক্রম ও শিক্ষকদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শাকসু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা বেড়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনা-সমালোচনা করছেন।

আরও পড়ুনশাকসু নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্যপ্রার্থীদের তৎপরতা২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সমাজকর্ম বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলী আব্বাস বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, কতিপয় শিক্ষক শাকসু নির্বাচনে সহযোগিতা করবেন না। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁরা নির্বাচন চান না। আমরা শিক্ষার্থীরা মনে করি, বর্তমানে আমাদের ক্যাম্পাসে শাকসুর প্রয়োজনীয় পরিবেশ-পরিস্থিতি বিদ্যমান।’

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরীকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। সহ-উপাচার্য সাজেদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচনের অনেক কাজই আমরা এগিয়ে নিয়ে এসেছি। স্থগিত হয়নি, কাজ চলমান আছে। নির্বাচন সফল করতে আমরা সব পক্ষের সহযোগিতা কামনা করি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ