জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি, স্নাতক পাসে আবেদন
Published: 14th, October 2025 GMT
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ১৩ নভেম্বরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
পদের নাম ও বিবরণসহকারী গ্রন্থাগারিক
পদসংখ্যা: ১
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক ডিগ্রি; স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রন্থাগারবিজ্ঞানে ডিপ্লোমা ডিগ্রি; এমএস অফিস অ্যাপ্লিকেশনের কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে। অথবা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রন্থাগারবিজ্ঞান বা গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক ডিগ্রি; এমএস অফিস অ্যাপ্লিকেশনের কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা (গ্রেড-১১)
বয়সসীমা১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ১৮–৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে।
আরও পড়ুনএই ‘ভুলে ভরা’ বিসিএস প্রশ্নপত্র কারা তৈরি করল৫ ঘণ্টা আগেআবেদনপ্রক্রিয়াআগ্রহী প্রার্থীরা http://jgk.
পরীক্ষার ফি বাবদ ১৫০ টাকা, টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১৮ টাকাসহ মোট ১৬৮ টাকা। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ) প্রার্থীদের জন্য পরীক্ষার ফি ৫০ টাকা, টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা।
*আবেদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুনসায়েন্স ল্যাবের ব্লকেড কর্মসূচি তুলে নিলেন ছাত্ররা১ ঘণ্টা আগেআবেদনের সময়সীমাআবেদনপত্র পূরণ ও পরীক্ষার ফি জমাদান শুরুর তারিখ ও সময়: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ১০টা।
আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ও সময়: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা।
নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ, সময় ও অন্যান্য তথ্য www.jgk.gov.bd ওয়েবসাইট হতে জানা যাবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ রন থ গ র পর ক ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
বাকৃবিতে জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠিত
‘জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫’ এর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) অংশের সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে এ সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
জাবির হলে র্যাগিং: ১৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি গঠন
সাইন্টিফিক বিযিনেস: বাঙালির কলুষিত মনস্তত্ত্ব
‘যুব উৎসব ২০২৫’ এর অংশ হিসেবে এবং ‘জুলাই আন্দোলনের প্রথম বার্ষিকী’ উপলক্ষে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। প্রতিযোগিতায় তরুণ শিক্ষার্থীরা নীতিনির্ধারণ, উন্নয়ন ও নেতৃত্ব বিষয়ে নিজেদের চিন্তাভাবনা ও প্রস্তাবিত নীতিপত্র উপস্থাপন করেন।
এ বছরের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মূল বিষয়বস্তু ছিল- ‘কৃষি, নদী ও উন্নয়নের গতিপথ: বঙ্গীয় বদ্বীপের পুনরাবিষ্কার।’
অনুষ্ঠানে সমাপনী পর্বের জন্য বাছাই হওয়া পাঁচটি দল তাদের নীতিপত্র উপস্থাপন করে, যার মধ্যে সেরা নীতিপত্র উপস্থাপনকারী তিনটি দলকে পুরস্কৃত করা হয়।
এর আগে, প্রতিযোগিতার ১ম পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২২ টি অংশগ্রহণকারী দল থেকে নয়টি দলকে বাছাই করা হয়। পরের ধাপে নয়টি থেকে পাঁচটি দল সমাপনী পর্বে অংশগ্রহণের জন্য বাছাই হয়।
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ‘আইডিআরওএফ’, ফার্স্ট রানার আপ টিম ‘ডেল্টা ২১০০’ এবং সেকেন্ড রানার আপ টিম ‘বিএইউ-নোভা’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় সমাপনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূইয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রায় ২২টি দল এই প্রতিযোগিতায় এসেছিল। তরুণদের এই প্রচেষ্টাকে আমি সবসময় শ্রদ্ধা জানাই এবং আমি তাদের আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করতে চাই। আমি এই তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় সু্যোগ বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করি যাতে তারা এগিয়ে যেতে পারে এবং বৈশ্বিক দরবারে ভূমিকা রাখতে পারে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী বলেন, “এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা তাদের ধারণা যেভাবে উপস্থাপন করেছেন, সেটি আমাদের সময় করা সম্ভব ছিল না। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এখন এই যে পজিটিভ একটি পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এখন বলা হয়, পরিবর্তনই হলো একমাত্র স্থির।”
তিনি বলেন, “তরুণরা দেশ নিয়ে কি ভাবছেন, দেশকে পরিবর্তনের মাধ্যমে বিশ্বকে পরিবর্তনের জন্য তারা কেমন চিন্তাভাবনা রাখছেন, সেটি যেন তারা প্রকাশ করতে পারে সে জন্য আমরা দেশব্যাপী এই সুযোগটি রেখেছি। লিডারশিপ, প্রযুক্তি ও অন্যান্য বিষয়ক জ্ঞান এখন অনেক প্রয়োজন। তরুণদের মধ্যে এই দক্ষতাগুলো আনয়নের জন্যই এই আয়োজন, যা পরবর্তীতে রাষ্ট্রের জন্যই উপকারী হবে।”
ঢাকা/লিখন/মেহেদী