শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন টেকনোলজিতে মাস্টার্স, আসন ৪০
Published: 14th, October 2025 GMT
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজিতে (আইআইসিটি) মাস্টার্স ইন ইনফরমেশন টেকনোলজিতে (এমআইটি) সান্ধ্যকালীন অষ্টম ব্যাচে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আবেদনকারীর যোগ্যতা
স্নাতক এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে নিচের বিষয়ে ন্যূনতম সিজিপিএ ২.
১. বিজ্ঞান বা প্রকৌশলে চার বছর মেয়াদি বিএসসি ডিগ্রি অথবা (তিন বছর মেয়াদি বিএসসি ডিগ্রিসহ এক বছর মেয়াদি মাস্টার্স)।
২. অন্যান্য বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক (ডিগ্রি) (অথবা তিন বছর মেয়াদি অনার্স বা পাসসহ এক বছর মেয়াদি মাস্টার্স) এবং আইটি বা সমমানের বিষয়ে এক বছর মেয়াদি পিজিডি।
আরও পড়ুনপক্ষে–বিপক্ষে কর্মসূচি, ঢাকা কলেজে শিক্ষককে হেনস্তা, কাল কর্মবিরতি১৭ ঘণ্টা আগেকোর্স ফি/সেমিস্টার
কোর্স ফি ২০ হাজার টাকা। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে।
দরকারি তথ্য
কোর্সের মেয়াদ: ১৮ মাস, ৩ সেমিস্টার;
আসনসংখ্যা: ৪০;
ক্লাসের সময়: বিকেল ৫টা থেকে আট ৮টা পর্যন্ত। ক্লাস হবে রোববার হতে বৃহস্পতিবার, সপ্তাহে চার দিন।
আবেদন ফরম সংগ্রহ
আইআইসিটির অফিস থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে ও পূরণ করা আবেদনপত্রের সঙ্গে ছবি, সব পরীক্ষা পাসের নম্বরপত্র–সনদ, দুটি সুপারিশপত্রসহ আবেদনপত্র আইআইসিটি অফিসে জমা দিতে হবে। প্রত্যেক আবেদনকারীকে সোনালী ব্যাংক শাবিপ্রবি শাখার হিসাব নম্বরে (৫৬৩২৫০২০০০৪৪৫) ৫০০ টাকা জমা দেওয়ার ব্যাংক রসিদ আবেদন ফরমের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিতে হবে।
আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত, কারণ অনিবার্য২ ঘণ্টা আগেআবেদনের বিস্তারিত
১. আবেদনের শেষ তারিখ: ১৮ নভেম্বর ২০২৫;
২. ভর্তি পরীক্ষার তারিখ: ২২ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা, স্থান: আইআইসিটি গ্যালারি ১;
৩. বাছাই পরীক্ষার বিষয়: গণিত, কম্পিউটারের মৌলিক বিষয়, প্রোগ্রামিং;
৪. ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৫;
৫. ভর্তির তারিখ: ৩০ নভেম্বর ২০২৫ থেকে ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত (মেধাতালিকা থেকে);
৬. ভর্তির তারিখ (প্রয়োজনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে): ৯ থেকে ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫;
৭. ক্লাস শুরুর তারিখ: ৪ জানুয়ারি ২০২৬।
বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট: www.iict.sust.edu
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বব দ য বছর ম য পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুর অঞ্চলে কেন বারবার অ্যানথ্রাক্সের হানা
বাংলাদেশের রংপুর অঞ্চলে অ্যানথ্রাক্স এখন দৃশ্যমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। জনস্বাস্থ্য সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে। রংপুরের পীরগাছা, কাউনিয়া ও মিঠাপুকুর উপজেলায় দুই মাসে ১১ জন অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে। রয়েছে কয়েক শ সন্দেহভাজন রোগী। মারা গেছে দুই শর বেশি গরু।
পীরগাছায় দুজন অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে জানায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (বিবিসি, ১ অক্টোবর ২০২৫)। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নতুন করে ১১ জনের অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এবং শনিবার এক নারী অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন (প্রথম আলো, ৫ অক্টোবর ২০২৫)। সুতরাং অ্যানথ্রাক্স রোগটি আঞ্চলিক ‘মহামারির’ দিকে ধাবিত হচ্ছে—এমন আশঙ্কা এখন অস্বাভাবিক নয়।
যদিও স্বাস্থ্য বিভাগ এখনো ‘স্বাস্থ্য সতর্কতা’ জারি করেনি। অথচ এ বছরের শুরুতে থাইল্যান্ডের মুকদাহান প্রদেশে মাত্র একজন কৃষকের অ্যানথ্রাক্সজনিত মৃত্যু ও কিছু রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ‘স্বাস্থ্য সতর্কতা’ জারি কো হয়েছে এবং ৫ কিলোমিটার কোয়ারেন্টিন অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে (ইনডিপেনডেন্ট, ইউকে, ২ মে ২০২৫)।
আরও পড়ুনসাপ নয়, সংকেত: রাসেলস ভাইপার বারবার কেন দেখা দিচ্ছে১৪ জুলাই ২০২৫বাংলাদেশে প্রাণী ও মানবদেহে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ ঘটে ১৯৮৬ সালে। রংপুর অঞ্চলে অ্যানথ্রাক্সের ইতিহাসও প্রায় দুই দশকের। সিরাজগঞ্জ, মেহেরপুর জেলাতেও প্রতিবছর অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব ঘটে। ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধায় একের পর এক অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।
কেন এ অঞ্চলে অ্যানথ্রাক্স প্রাদুর্ভাব ঘটছে বারবার? এর কারণ উদ্ঘাটন করতে না পারলে এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রতিকার-প্রতিরোধে কার্যকর স্বাস্থ্য যোগাযোগ কর্মসূচি প্রণীত না হলে এমন জনস্বাস্থ্য সংকট লেগেই থাকবে।
স্বাস্থ্য যোগাযোগ বা জনস্বাস্থ্য যোগাযোগকে আমরা প্রচলিত ভাষায় ‘সচেতনতামূলক কর্মসূচি’ বা প্রচার অভিযান (ক্যাম্পেইন) বলে থাকি। সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ অনুযায়ী অ্যানথ্রাক্স রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ, নির্মূল এবং জরুরি সতর্কতা ঘোষণা বা এমন যোগাযোগ কর্মসূচি নেওয়ার ক্ষমতা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। কিন্তু অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে পরিকল্পিত কোনো স্বাস্থ্য যোগাযোগ কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি এবং দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণের পরিবর্তনে এমন যোগাযোগ কর্মসূচির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।
অ্যানথ্রাক্স প্রাদুর্ভাবের কারণ বহুবিধ। আর্থসামাজিক, স্বাস্থ্যবিধিগত, দুর্বল জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা এবং অ্যানথ্রাক্সের প্রাকৃতিক বিষয়টি এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। অ্যানথ্রাক্সের প্রাকৃতিক বিষয়টি হচ্ছে এমন: গরু-মহিষ যেখানে একবার অ্যানথ্রাক্সে মারা যায়, সেখানকার মাটিতে অ্যানথ্রাক্সের স্পোর বা বীজাণু দশক ধরে সক্রিয় থাকে।
পরবর্তী সময়ে অন্য পশু সেই জায়গায় ঘাস খেলে বা পানি পান করলে আবার সংক্রমিত হয়। মানুষও সংক্রমিত হয়। সংক্রমিত পশুর চামড়া, রক্ত বা দুধের সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শ হলে রোগ মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অধিকাংশ অ্যানথ্রাক্স প্রাদুর্ভাব উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু নির্দিষ্ট জেলায় বারবার হয়, কারণ ওই অঞ্চলের মাটিতে অন্যান্য এলাকার তুলনায় অ্যানথ্রাক্স স্পোর বা বীজাণু বেশি থাকে।
এ জন্য হঠাৎ অ্যানথ্রাক্স প্রাদুর্ভাব শুরুর পর সচেতনতা জরুরি বলে গলা ফাটালেও প্রতিরোধ-প্রতিকার কোনোটাই কাজে আসে না। সংক্রমিত পশু মারা গেলে, যদি সেই মৃত পশু অন্তত ৬ ফুট গভীরে পুঁতে বা জীবাণুমুক্ত করা বা পুড়িয়ে না ফেলা হয়, তাহলে মাটিতে থাকা স্পোর নতুন পশুকে সংক্রমিত করে। রংপুরে এ প্রাদুর্ভাব বারবার ঘটছে এভাবেই। কারণ, অনেক সময় সংক্রমিত পশু মারা গেলে খোলা স্থানে ফেলে দেওয়া হয় বা কেউ মাংস বিক্রি করে দেন। সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর সার্বক্ষণিক নজরদারি ও যোগাযোগ কর্মসূচির মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির অভাবে এমনটি ঘটছে প্রতিবছর।
অ্যানথ্রাক্সের বিপর্যয় শুধুই স্বাস্থ্যসংক্রান্ত নয়। দারিদ্র্যের কারণে গরু আক্রান্ত হলে তা দ্রুত জবাই দেওয়ার রেওয়াজ গ্রামে দীর্ঘদিনের। আমরা গ্রামে দেখেছি, গরু জবাই একটা উৎসব, পাড়া-প্রতিবেশী সবাই মিলে মাংস কাটাকাটি করে।
এক গবেষণায় অসুস্থ পশু জবাইকারীদের মধ্যে ৪৯ দশমিক ২ শতাংশকে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত পাওয়া যায়। বেশির ভাগ গবাদিপশু পালনকারী নিম্ন বা মধ্য আয়ের এবং তাঁদের জীবিকা আংশিকভাবে পশুপালনের ওপর নির্ভরশীল। আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তাঁরা প্রায়ই অসুস্থ পশু জবাই করেন বা রোগ গোপন রেখে তা বিক্রি করেন। গরু কৃষকের প্রধান সম্পদ। গরু বিক্রি করেই মেয়ের বিয়ে দেন কৃষক—এ ধরনের নির্ভরতা আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির মধ্যেই লুক্কায়িত। অসুস্থ গরু-ছাগল জবাই করে বিক্রি করে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার অসহায় প্রচেষ্টাই অদৃশ্য হুমকি এই অ্যানথ্রাক্স।
এই মাংসের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় দরিদ্র মানুষও তা কিনে খান। এ রোগ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিপর্যয়েরও সূচনাকারী। তাই অসুস্থ পশু জবাই করার রেওয়াজকে বারণ করাতে প্রণোদনা, প্রাণিসম্পদ বিমা বা আর্থিক ক্ষতিপূরণ জাতীয় কিছু ব্যবস্থা করা যেতে পারে, যাতে করে কৃষক রোগাক্রান্ত পশুটি জবাই না করে সঠিক স্বাস্থ্যবিধিগত ব্যবস্থা নিতে পারেন। সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর বহুবিধ আর্থসামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে।
অ্যানথ্রাক্স কোনো অভিশাপ নয়, এটি একটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। কিন্তু রংপুরে এর পুনরাবৃত্তি প্রমাণ করে যে কেবল গবাদিপশুর টিকা নয়, প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। সচেতনতা, নীতি-নিষ্ঠা এবং প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা ছাড়া অ্যানথ্রাক্স নির্মূল সম্ভব নয়।সরকার ২০১২ সালে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে ‘ওয়ান হেলথ’ (One Health) কর্মকৌশল গ্রহণ করেছে। ওয়ান হেলথ পদ্ধতি হলো একটি সমন্বিত কর্মকৌশল, যেখানে মানুষ ও প্রাণী উভয়ের ওপর প্রভাব ফেলা সংক্রামক রোগ মোকাবিলায় চিকিৎসক, পশুচিকিৎসক ও পরিবেশবিদরা একসঙ্গে কাজ করেন। রংপুরে ওয়ান হেলথ পদ্ধতি কার্যকর হচ্ছে কি? সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরগুলো সমন্বিত পদ্ধতিতে কাজ করলে এ প্রাদুর্ভাব বারবার ঘটত না।
ঢাকায় গত ২৬-২৮ জানুয়ারি ২০১৫ প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশ-ভারত অ্যানথ্রাক্স সহযোগিতা কর্মশালা’। কর্মশালাটির সুপারিশ বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। এতে দুই দেশের মানব ও প্রাণী স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা অংশ নেন। কর্মশালাটি আয়োজন করে বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। কর্মশালার বিবরণী এর ওয়েবসাইটে রয়েছে। দুই দেশের বিশেষজ্ঞরা অ্যানথ্রাক্স মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপের সুপারিশ করেন।
স্বল্পমেয়াদি সুপারিশের মধ্যে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ও প্রাণীর ওপর সক্রিয় নজরদারি, ল্যাবরেটরির সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধি।
আরও পড়ুনরংপুর-গাইবান্ধায় জনস্বাস্থ্য নিয়ে নতুন উদ্বেগ০৮ অক্টোবর ২০২৫মধ্যমেয়াদি সুপারিশের মধ্যে রয়েছে অ্যানথ্রাক্সের অর্থনৈতিক প্রভাব ও প্রাদুর্ভাবের কারণ নিরূপণ, সীমান্তবর্তী হটস্পট মানচিত্রকরণ এবং গবেষণা পরিচালনা।
গবেষণার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন, বন উজাড়, বন্যা ইত্যাদির ফলে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের পরিবর্তন বোঝা অপরিহার্য বলে ওই কর্মশালায় গুরুত্বারোপ করা হয়। ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভেটেরিনারি এপিডেমিওলজি অ্যান্ড ডিজিজ ইনফরমেটিকস-এর পরিচালক ড. এইচ রহমান ওই কর্মশালায় বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন কৃষি ও পশুপালনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণে এর প্রভাব আমাদের এখনই বুঝতে হবে।’
দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় প্রযুক্তিনির্ভর শনাক্তকরণ কিট ও মানুষের জন্য অ্যানথ্রাক্স ভ্যাকসিন উদ্ভাবন, আঞ্চলিক রেফারেন্স ল্যাবরেটরি ও অ্যানথ্রাক্স ফোরাম গঠন।
অ্যানথ্রাক্স কোনো অভিশাপ নয়, এটি একটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। কিন্তু রংপুরে এর পুনরাবৃত্তি প্রমাণ করে যে কেবল গবাদিপশুর টিকা নয়, প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। সচেতনতা, নীতি-নিষ্ঠা এবং প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা ছাড়া অ্যানথ্রাক্স নির্মূল সম্ভব নয়।
রংপুরের প্রতিটি গবাদিপশু পালনকারী যদি জানেন অ্যানথ্রাক্স কীভাবে ছড়ায়, টিকা কেন জরুরি, মৃত পশু কীভাবে নিরাপদে পুঁততে হয়, তাহলেই আমরা এ রোগের থাবা থেকে রক্ষা পাই। আর এ জন্য প্রয়োজন ‘ওয়ান হেলথ’ কাঠামোর অধীন কৌশলগত স্বাস্থ্য যোগাযোগ কর্মসূচি।
মাহমুদুল হক স্বাস্থ্য যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ। শিক্ষক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর