রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে জনসভা করেছে উপজেলা বিএনপি। এ সময় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘‘আগামী দিনের বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক আপনি। গত ১৮ বছরে যত কর্মসূচি দিয়েছেন, আমরা কখনো ফাঁকি দিইনি।’’

আরো পড়ুন:

দয়া করে দেশটাকে বাঁচান, আর বিভেদ সৃষ্টি করবেন না: মির্জা ফখরুল

গণভোটের দাবি নির্বাচন বিলম্বিত করার মাস্টারপ্ল্যান: রিজভী

জাহাঙ্গীর আলম উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘‘আমি আমার স্ত্রী, সন্তানের সঙ্গে ফাঁকি দিয়েছি। ব্যবসা, বাণিজ্যের সঙ্গে ফাঁকি দিয়েছি। শরীরের সঙ্গে ফাঁকি দিয়েছি। কিন্তু দলের সঙ্গে নয়।’’ এ কথা বলতেই কেঁদে ফেলেন তিনি।

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বাবু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিএম তানভীর সাবু, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম আঙ্গুর প্রমুখ।

ঢাকা/শিপন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন জেলা বিএনপির সম্পাদক মাজহারুল

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুর) আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম। আজ বুধবার দুপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘দলের সংকটময় সময়ে যেকোনো কর্মসূচিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছি। বর্তমানে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছি।’ দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে কিশোরগঞ্জের মাটি ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করবেন বলে তিনি জানান।

জেলা বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তিনি কিশোরগঞ্জের রাজপথে ছিলেন। তরুণ কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন। গত ১৭ বছর শেখ হাসিনার শাসনামলে নির্যাতন, মামলা, জেল-জুলুম সবকিছুর মধ্যেও জনগণের পাশে থেকেছেন। তাঁর এই প্রার্থিতা ঘোষণা কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা নয়, এটি তাঁর লড়াইয়ের ধারাবাহিকতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এক অবিচল অঙ্গীকার।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান, জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. আমিরুজ্জামন, মো. ইসমাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাফিল মিয়া, পৌর বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি মারুফ মিয়াসহ কিশোরগঞ্জ জেলা এবং হোসেনপুর উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ