2025-08-01@17:44:13 GMT
إجمالي نتائج البحث: 11

«সজন র»:

    বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতে সবচেয়ে আতঙ্কজনক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিকর রোগগুলোর একটি হলো ক্ষুরা রোগ বা ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (এফএমডি)। প্রতিবছর এই ভাইরাসজনিত রোগে হাজার হাজার গরুসহ বিভিন্ন গবাদিপশু আক্রান্ত হয়। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হন খামারি ও কৃষকরা। বয়স্ক গরুতে আক্রান্ত হলে উৎপাদন হ্রাস এবং বাছুর গরু আক্রান্ত হলে মৃত্যু ঘটাতে সক্ষম এই রোগ। বাছুর গরুর জন্য খুবই মারাত্মক ব্যাধি এটি। এই রোগ শুধু পশুর স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি নয়, বরং দুগ্ধ উৎপাদন, উৎপাদনশীলতা এবং পশুর রপ্তানি সম্ভাবনাকেও বাধাগ্রস্ত করে। গবাদিপশুর ক্ষুরা রোগের লক্ষণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাইক্রোবায়োলজ অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গোলজার হোসেন। আরো পড়ুন: মৌলভীবাজারে মুরগির বাচ্চার মড়ক, খামারিরা দিশেহারা  বিক্রির জন্য প্রস্তুত ১৩০০ কেজির...
    জীবনযাপন পদ্ধতি ও অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে আজকাল অধিকাংশ মানুষের মধ্যে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা বাড়ছে। সুস্থ থাকতে প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে অনেক ধরনের প্রাকৃতিক পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ চিকিৎসা অনুযায়ী, সকালে খালি পেটে কয়েক ধরনের পাতা খেলে অনেকরকম শারীরিক সমস্যা কমে।  সবুজ ও টাটকা পাতার প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকে। খনিজ, ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর বেশ কয়েকটি পাতা কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খেলে দারুণ উপকার মেলে। যেমন- পুদিনা পাতা: অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেলে মুখগহ্বরে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা আটকে যায়। পাশাপাশি এই পাতা বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে। তুলসি পাতা: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তুলসি পাতা সর্দি কাশি, সংক্রমণজনিত রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। কাঁচা তুলসি পাতা চিবিয়ে খেলে হজমের সমস্যা কমে যায়। যাদের ঠান্ডা লাগার সমস্যা রয়েছে তাদেরও এটি খাওয়া ভালো। পালং শাক : অনেকেই...
    সময়টা জ্বরজারির। ঘরে ঘরে জ্বরের প্রকোপ। এ সময় শিশুর জ্বর হলেই অভিভাবকেরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন—ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া হলো না তো? নাকি সাধারণ ভাইরাসজনিত জ্বর?মনে রাখতে হবে, ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়াও ভাইরাসজনিত রোগ। অন্য ভাইরাসজনিত জ্বরের সঙ্গে এর তেমন তফাত নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে লক্ষণ বিবেচনা করে ও শারীরিক পরীক্ষা করেই চিকিৎসকেরা এসব জ্বর শনাক্ত করতে পারেন।যেভাবে বুঝবেনডেঙ্গু হলে জ্বরের সঙ্গে মাথা ও পেশিতে ব্যথা হয়ে থাকে। চিকুনগুনিয়ার ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধিতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। কখনো জয়েন্ট ফুলেও যায়। চিকুনগুনিয়ায় শুরুতেই ত্বকে র‌্যাশ (লাল লাল দানা) দেখা দেয়। ডেঙ্গুর র‌্যাশ সাধারণত তিন থেকে পাঁচ দিন পর আসে। জটিলতা হিসেবে নাক দিয়ে বা চোখের কনজাংটিভায় (চোখের একটি পাতলা ও স্বচ্ছ আবরণ) রক্তক্ষরণের মতো বিষয় ডেঙ্গুতে দেখা যায়। তবে চিকুনগুনিয়ার ক্ষেত্রে এটা...
    সফরটা মাঝপথে আসতে আসতেই কি একটু ক্লান্তি ভর করল বাংলাদেশ দলের ওপর! ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ এখনো বাকি, টি–টোয়েন্টি সিরিজ তো পুরোটাই রয়ে গেছে। এখনই হতোদ্যম হলে চলবে?দীর্ঘ সফরে যখন পরপর দুটি ম্যাচে আপনি নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো কিছু্ করতে পারবেন না, তখন আসলে সবকিছু ক্লান্তিকর মনে হতেই পারে। গলে প্রথম টেস্ট ড্র করে এসে দ্বিতীয় টেস্টে চতুর্থ দিন সকালে হেরে যাওয়া, নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে ওয়ানডেতে নতুন দিন শুরুর আশায় প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই আরেক ধাক্কা—সব মিলিয়ে কলম্বোয় গত ১২টি দিন ঠিক স্বস্তিতে কাটাতে পারেনি বাংলাদেশ দল।তারওপর আছে চোট, অসুস্থতা। রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে নিজেদের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ দলের জন্য। আবার এও ঠিক, সব সমস্যা অতিক্রম করে আজকের ম্যাচে ভালো কিছু হলে পাল্টে যেতে...
    গরমে সজনে ডাল বা তরকারি কম বেশি সবারই পছন্দ। সুস্বাদু এই সবজির রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। সজনে একটি ওষুধি গুণে ভরপুর অন্যতম ভেষজ উদ্ভিদ। সজনের ডাঁটা যেমন সুস্বাদু একটি সবজি, তেমনি এটি পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতার দিক থেকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, আয়ুর্বেদিক ও প্রাকৃতিক চিকিৎসায় সজনের বহুল ব্যবহার রয়েছে। সজনে বা মরিঙ্গা একটি ‘সুপারফুড’ হিসেবে বিবেচিত হয় কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সজনে পাতায় ভিটামিন এ, সি ও ই, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন ও ফাইবার পাওয়া যায়। এতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারী এবং ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে। তাই প্রতিদিনের খাবারে সজনে যুক্ত করলে শরীর প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি পায়। এছাড়াও সজনা খেলে আরও উপকার পাওয়া যায়। যেমন_ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ...
    হবিগঞ্জের পাহাড়ি এলাকায় সজনের ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে সজনের দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। তাই পাহাড়ি চাষিরা সজনে বিক্রিতে লাভবান হচ্ছেন। এখন সজনের মৌসুম। এটি ফাল্গুন মাসের প্রথমে ধরা শুরু করে। চৈত্র ও বৈশাখ মাসজুড়ে বিক্রি হয়। এ সবজিটি এক সময় হবিগঞ্জ জেলার সর্বত্র চাষ হতো। এখন শুধু ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে জেলার পাহাড়ি এলাকায়। তার পাশাপাশি গ্রামের অনেক বাড়িতেও সজনে চাষ হয়। আর এ মৌসুমে সজনের ভালো ফলন হয়েছে। জেলার চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা পাহাড়ি এলাকা ও দেউন্দি চা-বাগান এলাকা পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, বাড়ি বাড়ি সজনের গাছ। অনেকে গাছ থেকে সজনে সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন। আবার নিজেদের খাবারে সবজির চাহিদা মেটাচ্ছেন। এভাবে জেলার নবীগঞ্জ, বাহুবল, মাধবপুর উপজেলার পাহাড়ি এলাকার প্রতিটি চা-বাগান, আদিবাসী পুঞ্জির বাড়িতে সজনে চাষ হচ্ছে। এর ফলনে...
    বসন্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে দেখা মিলছে সজনে ডাঁটার। এই সবজিতে থাকা প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, কপার, ফসফরাসসহ থাকা বিভিন্ন পুষ্টি  উপাদান শরীরের জন্য খুবই উপকারী। গরমে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি এড়াতে তাই সজনে ডাঁটা খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। এই গরমে সজনে ডাটা খেলে যেসব উপকারিতা পাবেন- ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়: সজনে ডাঁটায় পানির পরিমাণ বেশি। এ কারণে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতে পারেন সজনে ডাঁটা। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতেও সজনে ডাঁটার ভূমিকা অপরিসীম। রোজ যদি এই ডাঁটা খাওয়া যায়, তা হলে গরমে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে।  রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে: গরমে পেট খারাপ থেকে শুরু করে অ্যাসিডিটিসহ নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে। শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বেরিয়ে যায় বলে, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও কমে যায়। ডাঁটা রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি...
    আমার বন্ধু অরূপ, জীবন নিয়ে তার ভাবনা অনেকটা ভাবলেশহীন। কিন্তু আজ সকালে তাকে দেখলাম চিন্তিত। কারণ কী? ‘তুমি তো জানো, আমার মা ডায়াবেটিসের কারণে কিডনি খারাপ হয়ে মারা গেছেন পাঁচ বছর হলো। আজ বাসার গ্লুকোমিটারে চেক করে দেখি, ১৩ মিলিমোল, মন খারাপ হয়ে আছে, চিন্তা লাগছে তাই।’ অরূপের বয়স ৫৫। যে কেউ তার দিকে তাকানোর আগে তার ভুঁড়ির দিকে তাকাবে। বললাম, ব্লাড প্রেশারের কী অবস্থা? কথার মাঝখানে এল এক রোগী, যাঁকে আমি চাচা বলে ডাকি। ৭৯ বছর তাঁর। ৩০ বছর ধরে ডায়াবেটিস, কিন্তু তাঁর সব রিপোর্ট নরমাল। তাঁর গড় ডায়াবেটিস ৭%–এর নিচে থাকে, রক্তচাপ নরমাল থাকে। খুব নিয়ম মেনে চলেন। বন্ধুকে বললাম, এত চিন্তার কিছু নেই। তাঁকে দেখ, নিয়ম মানছেন। ভালো আছেন। সকালের নাশতা খেলাম একসঙ্গে দুজনে। খাবার ছিল রুটি,...
    কিডনির রোগে ভুগছেন দেশে এমন মানুষের অনুমিত সংখ্যা ১ কোটি ২৯ লাখের বেশি। প্রতিবছর কিডনির রোগে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ মারা যান। মূলত ৯ ধরনের কিডনির রোগে এই মৃত্যু হয়। কিডনির চিকিৎসায় অনেক মানুষ প্রতিবছর দেশের বাইরে যান। বাংলাদেশে কিডনির রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও কিডনির রোগের ধরন বিষয়ে এই তথ্য পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের (আইএইচএমই) ওয়েবসাইটে। আইএইচএমই দেড় দশকের বেশি সময় ধরে বিশ্বের ২০০টির বেশি দেশের রোগ পরিস্থিতির তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি নিয়মিতভাবে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করছে। তাদের তথ্যভান্ডারে বিশ্বের প্রায় সব দেশ ও অঞ্চলের বিভিন্ন রোগের পরিসংখ্যান পাওয়া পায়। কিডনির রোগ নিয়ে দেশে জাতীয়ভাবে কোনো জরিপ বা গবেষণা নেই। কিডনির রোগবিশেষজ্ঞরা প্রায় দুই দশক ধরে বলে আসছেন, কোনো না...
    শিশুদের প্রায়ই জ্বরের সঙ্গে ত্বকে দানা দানা বা র‍্যাশ দেখা দেয়। নানা কারণে এটি হতে পারে। অনেক সময় এ র‍্যাশের ধরন দেখেই নির্ধারণ করা যায় রোগটা কী। আসুন জেনে নিই পরিচিত কিছু রোগের কথা, যেখানে জ্বর ও র‍্যাশ হয়।হামশিশুদের হাম বা মিজলস হলে শরীরে ছোট লালচে দানা দেখা দেয়। প্রথমে কানের পেছনে বা মুখে শুরু হয় এ র‍্যাশ। এরপর সারা গায়ে ছড়ায়। হাম ভাইরাসজনিত রোগ এবং এটি সংক্রামক। অন্য সব ভাইরাস জ্বরের মতো দুই সপ্তাহের মধ্যে এমনিতেই সেরে যায়। জলবসন্তজলবসন্ত বা চিকেন পক্সে যে র‍্যাশ ওঠে, তা হামের মতো লাল দানা নয়; বরং ক্ষুদ্র ফুসকুড়ির মতো। এই র‍্যাশ প্রথমে মুখ, বুক ও পিঠজুড়ে হয়। তবে সারা শরীরেই হতে পারে। ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয় বলে এরও তেমন চিকিৎসা নেই। জ্বরের জন্য...
    চাঁদপুরে শীতের দাপট বৃদ্ধির সাথে সাথে হু হু করে বেড়েছে শীতজনিত রোগ। যার মধ্যে অধিকাংশই রোটা-ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী। কুমিল্লা, চাঁদপুর, লক্ষীপুর, নোয়াখালীসহ আশপাশের জেলার শিশুরা ব্যাপকহারে রোটা-ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বর থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত গত ১৫ দিনে রোগে আক্রান্ত হয়ে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) চাঁদপুরের মতলব হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪৫৫০ জন রোগী। প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হয়েছে ৩০৩ জন। প্রতি ঘণ্টায় রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন করে। এরমধ্যে শূন্য থেকে ৫ বছর বয়সী ৩৮৭৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু শতকরা ৮৫.২ জন। ভর্তি রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের তিনগুণের বেশি। তবে কারো মৃত্যু হয়নি। প্রায় ২০/২৫ ভাগ রোগীই কয়েক ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে যায়। শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ভাইরাসের বংশবৃদ্ধির অনুকূল...
۱