বসন্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে দেখা মিলছে সজনে ডাঁটার। এই সবজিতে থাকা প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, কপার, ফসফরাসসহ থাকা বিভিন্ন পুষ্টি  উপাদান শরীরের জন্য খুবই উপকারী। গরমে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি এড়াতে তাই সজনে ডাঁটা খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। এই গরমে সজনে ডাটা খেলে যেসব উপকারিতা পাবেন-

ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়: সজনে ডাঁটায় পানির পরিমাণ বেশি। এ কারণে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতে পারেন সজনে ডাঁটা। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতেও সজনে ডাঁটার ভূমিকা অপরিসীম। রোজ যদি এই ডাঁটা খাওয়া যায়, তা হলে গরমে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে। 

রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে: গরমে পেট খারাপ থেকে শুরু করে অ্যাসিডিটিসহ নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে। শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বেরিয়ে যায় বলে, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও কমে যায়। ডাঁটা রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায়। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তা ছাড়া ডাঁটায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।

হজমের সমস্যা কমায়: গরমে প্রায়ই হজমের সমস্যা দেখা দেয়। সুস্থ থাকতে শুধু বাইরের খাবার খাওয়া কমালেই হবে না। সজনে ডাঁটাও খেতে হবে। পেটের সমস্যা কমাতে এই সবজির জুড়ি নেই।

শরীর ঠান্ডা রাখে: প্রাকৃতিকভাবেই সজনে ডাঁটা ঠান্ডা। এ কারণে অতিরিক্ত গরম পড়লেও শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা করতে পারে এই সবজি। শরীর গরম হয়ে গেলে অতিরিক্ত ঘাম হয়, ক্লান্ত লাগে। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়তে পারে। এ কারণে গরম কালে নিয়মিত ডাঁটা খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সবজ র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ