পিতৃত্বকালীন ছুটি ও গোড়ালির চোটের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্যাট কামিন্সের অংশগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে সব শঙ্কা দূরে ঠেলে তাকে অধিনায়ক করেই ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য দল ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া।  

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়া গ্রুপপর্বে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের। আসর সামনে রেখে নিজেদের সেরা ১৫ সদস্যের দল বেছে নিয়েছে অজি নির্বাচকরা।  

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে ডাক পাওয়া নতুন মুখ হলেন ম্যাট শর্ট ও অ্যারন হার্ডি। কামিন্সের সঙ্গে পেস আক্রমণে থাকছেন জশ হ্যাজলউড, মিচেল স্টার্ক ও নাথান এলিস। একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে আছেন অ্যাডাম জাম্পা।  

প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি স্কোয়াড নিয়ে বলেন, ‘সাম্প্রতিক ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ দল গঠন করা হয়েছে। পাকিস্তানের কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ বিবেচনায় দলের গভীরতা ও বৈচিত্র্য একাদশ সাজাতে সহায়ক হবে।’

অস্ট্রেলিয়া তাদের অভিযান শুরু করবে ২২ ফেব্রুয়ারি লাহোরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ দুটি ম্যাচ খেলবে। ২০০৯ সালের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিততে না পারা দলটি এবার শিরোপা ঘরে তোলার লক্ষ্যেই মাঠে নামবে।  

অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড: প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), অ্যালেক্স ক্যারি, নাথান এলিস, অ্যারন হার্ডি, জশ হ্যাজলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস, মারনাস লাবুশেন, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ম্যাট শর্ট, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টয়নিস ও অ্যাডাম জাম্পা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

৪০ বল হাতে রেখে ভারতকে ৪ উইকেটে হারাল অস্ট্রেলিয়া

টার্গেটটা অবশ্য বড় ছিল না। মাত্র ১২৬ রানের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা মামুলি। এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটাও হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ঝড়ো।

কিন্তু এরপর জাসপ্রিত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব সেই ঝড়ের লাগাম টানার চেষ্টা করেন। কিন্তু সামান্য পুঁজি নিয়ে সেটা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাইতো অজিরা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৩.২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান তুলে নিশ্চিত জয় করে। আর সিরিজে এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচটি ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টির তোপে।

আরো পড়ুন:

৬ রান করেই ফিরলেন লিটন

অস্ট্রেলিয়ার বোলিং তোপে ১২৫ রানেই গুটিয়ে গেল ভারত

রান তাড়া করতে নেমে মিচেল মার্শ ও ট্র্যাভিড হেড ৪.২ ওভারেই তুলে ফেলেন ৫১ রান। এই রানে হেড ফেরেন ৩টি চার ও ১ ছক্কায় ২৮ রান করে। এরপর মার্শ মারতে থাকেন সুযোগ বুঝে। অষ্টম ওভারের শেষ বলে ৮৭ রানের মাথায় তিনিও ফেরেন সাজঘরে। যাওয়ার আগে ২৬ বলে ২টি চার ও ৪ ছক্কায় ৪৬ রান করে যান।

এরপর ৯০ রানে তৃতীয়, ১১২ রানে চতুর্থ, ১২৪ রানে পঞ্চম ও একই রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু মার্কাস স্টয়েনিস ঠাণ্ডা মাথায় খেলে ৬ বলে ৬ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার আগে টিম ডেভিড ১, জশ ইংলিস ২০, মিচেল ওয়েন ১৪ ও ম্যাথিউ শর্ট শূন্যরানে আউট হন।

বল হাতে ভারতের বরুণ ৪ ওভারে ২৩ রানে ২টি, বুমরাহ ৪ ওভারে ২৬ রানে ২টি ও কুলদীপ ৩.২ ওভারে ৪৫ রানে নেন ২টি উইকেট। ১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন হ্যাজলউড।

তার আগে মেলবোর্নে ভারত টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি। ভারতের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবল দুইজন দুই অঙ্কের কোটায় রান করতে পারেন। তার মধ্যে উদ্বোধনী ব্যাটার অভিষেক শর্মা ৩৭ বলে ৮টি চার ও ২ ছক্কায় খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস। এরপর অলরাউন্ডার হরষিত রানা ৩৩ বলে ৩টি চার ও ১ ছক্কায় খেলেন ৩৫ রানের ইনিংস। বাকিদের রান ছিল- ৫,২,১,০,৭,৪,০,০,০।

বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার জশ হ্যাজলউড ৪ ওভারে ১৩ রানে ৩টি উইকেট নেন। নাথান এলিস ৩.৪ ওভারে ২১ রানে ২টি ও জাভিয়ের বার্টলেট ৪ ওভারে ৩৯ রানে নেন ২টি উইকেট। মার্কাস স্টয়েনিস ৪ ওভারে ২৪ রানে নেন ১টি উইকেট।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪০ বল হাতে রেখে ভারতকে ৪ উইকেটে হারাল অস্ট্রেলিয়া