পিএসএলে দল পেয়ে কত আয় করবেন লিটন, রিশাদ ও রানা?
Published: 14th, January 2025 GMT
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দশম আসরের ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়েছে গত সোমবার। সেখানে দল পেয়েছেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার- লিটন দাস, রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা।
পিএসএলের এবারের আসরে করাচি কিংসের হয়ে খেলবেন লিটন দাস, লাহোর কালান্দার্সে জায়গা পেয়েছেন রিশাদ হোসেন এবং পেশোয়ার জালমিতে খেলবেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। ড্রাফটে বাংলাদেশের ৩৯ জন ক্রিকেটারের নাম উঠলেও দল পেয়েছেন কেবল এই তিনজন।
ড্রাফটের গোল্ড ক্যাটাগরিতে থাকা নাহিদ রানা এবার বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাবেন। গোল্ড ক্যাটাগরিতে থাকা খেলোয়াড়রা ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ লাখ টাকার সমপরিমাণ।
লিটন দাস ও রিশাদ হোসেন ড্রাফটের সিলভার ক্যাটাগরিতে দল পেয়েছেন। এই ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা ২৫ হাজার মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা আয় করবেন।
ড্রাফটে বাংলাদেশের দুই তারকা সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে। কিন্তু তাদের প্রতি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ দেখায়নি। প্লাটিনাম ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে দেড় লাখ মার্কিন ডলার আয় করেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় সোয়া এক কোটি টাকার মতো।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি