গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় ভোট
Published: 15th, January 2025 GMT
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার জানিয়েছেন, তিনি বুধবার তার ইউরোপ সফর সংক্ষিপ্ত করছেন। বৃহস্পতিবার গাজা বন্দিদের মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা এবং সরকারি ভোটে অংশ নিতে সফর সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “জিম্মি মুক্তি আলোচনার অগ্রগতির পর মন্ত্রী সার তার কূটনৈতিক সফর সংক্ষিপ্ত করেছেন, যা আগামীকাল হাঙ্গেরিতে অব্যাহত থাকার কথা ছিল। নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ও সরকারের প্রত্যাশিত আলোচনা এবং ভোটে অংশগ্রহণের জন্য তিনি আজ রাতে ইসরায়েলে ফিরে আসবেন।”
এদিকে, হামাস আল জাজিরা আরবিকে জানিয়েছে, খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি চুক্তির বিষয়ে হামাসের অনুমোদন হস্তান্তর করেছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার রয়টার্স জানিয়েছে, ১৫ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং ছিটমহলটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের কাছাকাছি পৌঁছেছেন আলোচকরা।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
আরো পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা
একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা দেখা দেবে না বলে আমরা আশা করি।”
তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর। এ জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
নিরাপত্তা ইস্যু—কার্গো অগ্নিকাণ্ড, অস্ত্র চুরির ঘটনা থেকে শুরু করে অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধী পক্ষ এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও উপদেষ্টা জানান, তদন্ত চলছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতীতের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কিছু বিতর্কিত ওসিদের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্বীকার করলেও জানান, সীমাবদ্ধতার কারণে সবাইকে একযোগে বদলি করা সম্ভব হচ্ছে না।
“যারা পরপর তিনটি নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন, তাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে,” বলেন তিনি।
আলোচনায় উস্কানিমূলক বক্তব্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচারণা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কেও প্রশ্ন ওঠে।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং কেউ আইনের বাইরে গেলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
ঢাকা/এএএম/ইভা