নরসিংদীতে বিএনপি ও যুবদলের সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১
Published: 16th, January 2025 GMT
নরসিংদীর শেখেরচরে ঝুট ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও যুবদলের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেখেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া আরেকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।
নিহত মনজুর ইসলাম (২২) মেহেরপাড়া ইউনিয়নের পৌলানপুর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে। সে আহত বখতিয়ার হোসেনের ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসার কর্মচারী ছিল। আর বখতিয়ার মেহেরপাড়া ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তার ও ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে মেহেরপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনির হোসেন ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইফতির মধ্যে মনোমালিন্য হচ্ছিল। এ নিয়ে শেখেরচর বাসস্ট্যান্ডে গতকাল সন্ধ্যায় দু’পক্ষের আলোচনায় বসার কথা ছিল। এরই মধ্যে দু’পক্ষের উত্তেজনায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে মনজুর ও বখতিয়ার গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। তাদের মধ্যে মনজুর ঘটনাস্থলে নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্য আহত বখতিয়ার হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিহত মনজুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইফতির সমর্থক বলে জানা গেছে।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার আবদুল হান্নান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নরস দ ব এনপ ইউন য ন ব এনপ ব যবস মনজ র
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।